এক স্বামীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, অভিযুক্তের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে। সেই সম্পর্কের প্রতিবাদ তাঁদের মেয়ে করায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে শুক্রবার খুন করা হয়।
জানা গিয়েছে, আর্শাদ আলি মোল্লা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের পোলেরহাট এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে মৃতার বিয়ে হয় ১৮ বছর আগে। দুই মেয়ে এবং এক ছেলেও রয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, ওই পাড়ারই এক মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আর্শাদ আলির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্তের স্ত্রীও জানতেন সেই সম্পর্কের কথা। প্রতিবাদ করলেই অভিযুক্ত স্ত্রীকে মারধর করত। ওই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে শুক্রবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা হয়। এরপর দোতলার ঘরে চলে যায় আর্শাদ আলি স্ত্রীকে নিয়ে।
শনিবার সকালে মা’কে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন মৃতার ১৬ বছরের বড় মেয়ে জানিয়েছে। রক্ত বের হচ্ছিল মুখ দিয়ে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সঙ্গে ডাকে সে। প্রতিবেশীরা এসে পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এসে দেহটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন রাস্তায় বাধা দেয়। অভিযোগ, তাদের ধস্তাধস্তি হয় পুলিসের সঙ্গে। ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়র এবং মৃতার বাপের বাড়ির একজন আহত হন।
মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মেয়ের উপর প্রায়দিনই অত্যাচার চালাত অভিযুক্ত আর্শাদ আলি। স্ত্রীকে মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিত ‘কুকীর্তি’র প্রতিবাদ করলেই। ঝামেলা হয় শুক্রবার রাতেও। এরপর অভিযুক্ত মারধর করে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করে। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিসে। ঘটনার পর অভিযুক্ত আর্শাদ আলি মোল্লা পলাতক। অভিযুক্তের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক যে মহিলার সঙ্গে রয়েছে বলে অভিযোগ, ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিস।