অনেকেই চাকরি সূত্রে নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন। বিশেষ করে করনাটকের বেঙ্গালুরু শহর যেন গোটা ভারতের এক চাকরির উৎস স্থল। তেমনই বাংলার এক তরুণী নার্সের চাকরি সূত্রে ছিলেন বেঙ্গালুরুতে। আর সেই বেঙ্গালুরুতে তাকে গণধর্ষণের শিকার হতে হল। আর অবাক করা ব্যাপার হল এই নিকৃষ্ট কাণ্ডে জড়িত চার জাতীয় স্তরের সাঁতারু। এই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেষ্ট করা হয়েছে।
নার্সের চাকরি সূত্রে বেঙ্গালুরু তে ছিলেন বাংলার ওই তরুণী। একাই থাকতেন সেখানে। এক ডেটিং সাইটের মাধ্যমে পরিচয় হয় রজত নামের এক জাতীয় স্তরের সাঁতারুর সাথে। ওই যুবক তরুণীকে তার বাড়িতে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানায় গত ২৪ মার্চ। ওই তরুণী রজতের আমন্ত্রণ ফেরাতে পারেননি। সেদিন রাতে তরুণী রজতের বাড়িতে যান। তরুণী পুলিশের কাছে দাবী করেছেন যে সেদিন রাতে রজত ছাড়াও আরও তিনজন পুরুষ ছিল সে বাড়িতে। এই চারজন মিলে একে একে ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে। ওই তরুণী সারারাত ওই বাড়িতেই ছিলেন। তারপর সেই তরুনি কোনও মতে তার এক বন্ধুকে ফোন করে যোগাযোগ করেন। শেষে ওই বন্ধুই তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর সঞ্জয়নগর থানায় অভিযোগ করতে যান ওই নির্যাতিতা।
সেখানকার পুলিশ ওই তরুনির অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেন। মেডিকেল টেস্ট করানো হয় তার। মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট এ ধর্ষণের প্রমান পাওয়া গেছে। পুলিশের একটি স্পেশাল টিমও তৈরী করা হয়। ওই চারজন ধর্ষককে এক এক করে আটক করা হয়। ওই অভিযুক্তরা হল রজত, শিব রানা, দেব সারোহা এবং যোগেশ কুমার।
পুলিশ জানিয়েছে যে এক ডেটিং অ্যাপের (Dating App) মাধ্যমে রজতের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রথমে পরিচয় এবং তারপর সম্পর্ক তৈরি হয়। আর সে কারণেই তাকে বাড়ি তে ডিনারে আসতে বলেন রজত। আর বাড়ি এনে গণধর্ষণ করে সে ও বাকি তিনজন। রজত অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে গণধর্ষণের পর। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বিমানবন্দর থেকে। একজন বাসাভনগুড়ি থেকে এবং বাকি দু’জনকে চিকপেট থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি-সহ একাধিক ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।