শিলিগুড়িতে রীতিমত এক অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের সাক্ষী থাকল গ্রামবাসীরা। হঠাৎই একটি গ্রামের আম গাছ থেকে শোনা যাচ্ছে ঘণ্টার আওয়াজ। কিন্তু আচমকা এমন আওয়াজ, গাছে তো কিছু নেই, এমন ঘটনায় রীতিমতো চমকে উঠছেন। এই অদ্ভুতুড়ে কান্ডটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের পূর্ব রাঙাপানি নারায়ণজোত গ্রামের বাসিন্দারা। এমন নয় যে এমন আওয়াজ এসেছে এক কি দুবার, প্রায় আট ন’দিন ধরে কিছুক্ষণ পরপরই আমগাছ থেকে ঘণ্টা বাজার আওয়াজ ভেসে আসছে। আতঙ্কে আমগাছের আশেপাশে এলাকার মানুষরা ভিড় জমালেও কেউ কুল কিনারা করতে পারছে না। কোথা থেকে আসছে এমন আওয়াজ? আতঙ্কে এলাকাবাসী। অবশ্য রহস্য সমাধানে নেমেছেন বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা। তারাই জানালো আসল কথা, গাছের মধ্যে বাসা বাঁধা বিশেষ পোকা থেকে আসছে এমন আওয়াজ।
স্থানীয় মহিলারা জানিয়েছেন, আট দিন আগে পূর্ব রাঙাপানি নারায়ণজোত গ্রামে একটি আম গাছ থেকে ভোর পাঁচটা থেকে টুং-টুং করে ঘণ্টার মত আওয়াজ আসতে থাকে। প্রথমে কেউ বুঝে উঠতে পারেননি এই আওয়াজ কোথা থেকে আসছে। তারপর থেকে প্রতিদিনই আধ ঘণ্টা একঘণ্টা অন্তর অন্তর ওই আওয়াজ হয়। এমনকি গ্রামে ভূতের আতঙ্ক পর্যন্ত ছড়ায়।
বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা এই খবর পেয়েই সাথে সাথে ছুটে আসেন। পর্যবেক্ষণ এর পর ,তাঁরা বলেন কোনও ভৌতিক ব্যাপার নয় আমগাছের থেকে ঘণ্টার আওয়াজের বিষয়টি। এক ধরনের পোকার আওয়াজ এটি। শঙ্কর কর স্থানীয় বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় থাকে গ্রামাঞ্চলের গাছে। এক ধরনের পোকার ওই আওয়াজ। এরকম আওয়াজ লাটাগুড়ির জঙ্গলেও শোনা যায়। এই গ্রামে এরকম আওয়াজ প্রথম শোনা যায় বলে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এতে।’ গ্রামের বাসিন্দারা বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের কথায় আশ্বস্ত হয়েছেন। তবে গত কয়েকদিন ধরে নারায়ণজোত গ্রামে উৎসুক মানুষের ভিড় জমছে এই ধরনের ঘটনার কথা শুনে।