চুল কাটতে গিয়ে খুনের মত ঘটনা ঘটে এ যেন বিশ্বাস করাই শক্ত। কিন্তু এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের কাপ্তানগঞ্জ থানা এলাকার কৈনহা বাজারে একটি সেলুনে চুল কাটতে আসা এক ব্যবসায়ীর ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করেছে নাপিত। এরপর আহত অবস্থায় তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ স্বজন ও গ্রামবাসীরা বাজার অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। নাপিতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র অনুযায়ী, আজমগড় জেলার কাপ্তানগঞ্জ থানা এলাকার কৈনহা বাজারের বাসিন্দা শিবশঙ্কর বক্সের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ির সামনে মহম্মদ পারভেজের সেলুন আছে। চুল কাটার জন্য পারভেজের দোকানে গিয়েছিলেন শিবশঙ্কর। এরই মধ্যে কোনো কিছু বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পারভেজ কাঁচি দিয়ে শিবশঙ্করের ওপর হামলা চালায়। তিনি শিবশঙ্করের ঘাড়ে কাঁচি দিয়ে ছুরিকাঘাত করে শিবশঙ্করকে গুরুতর জখম করে ফেলেন। ঘটনাটি ঘটিয়ে নাপিত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর গুরুতর আহত শিবশঙ্করকে তার পরিবার চিকিত্সার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সা চলাকালীন শিবশঙ্করের মৃত্যু হয়৷
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কৈনহা বাজার অবরোধ করেন নিহতের স্বজনরা। পুলিশ তাদের বোঝানোর পর কোনোভাবে অবরোধ ওঠানো হয়। আজমগড়ের পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্য বলেছেন যে বাজারে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, সতর্কতা হিসাবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার জানান, নিহতের বাবার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুল কাটা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধের জেরে তর্কাতর্কি থেকে এই ছুরিকাঘাত এমনটাই জানা যাচ্ছে। তাও এই ঘটনার পেছনে অন্য আর কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।