বিশ্বের নতুন প্রজাতন্ত্র (Republic) হতে চলেছে বার্বাডোস (Barbados)। ৩০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান। ব্রিটিশ রাজবংশের আনুগত্য ছেড়ে সাধারণতন্ত্র রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপটি। মঙ্গলবারই বিশ্বের নবতম সাধারণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে বার্বাডোজ (Barbados)।
বার্বাডোস ক্যারিবীয় সাগরে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ব্রিজটাউন দেশটির বৃহত্তম শহর, প্রধান বন্দর ও রাজধানী। ১৯৬৬ সালে বার্বাডোসে একটি নতুন যুগের সূচনা হয় এই দেশে। ২ লাখ ৮৫ হাজার জনসংখ্যার দেশটি ২০০ বছরের বেশি ব্রিটিশ শাসনের পর স্বাধীনতা লাভ করেছিল। যদিও, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে থেকে যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। যা নিয়ে কয়েক দশক ধরেই বিতর্ক চলছিল। নাগরিকদের মধ্যেও অসন্তোষ দিনদিন বাড়ছিল।
প্রাতিষ্ঠানিক শাসক হিসাবে রানিকে অপসারণের পরিকল্পনা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলির লেখা ভাষণ পড়ার সময় পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেসন বলেন, ‘সময় এসেছে আমাদের ঔপনিবেশিক অতীতকে পুরোপুরি পিছনে ফেলে দেওয়ার।’ তিনি বলেন, ‘বার্বাডোজের মানুষরা একজন বার্বাডোজিয়ান রাষ্ট্রপ্রধান চান। এটিই আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ। আমরা জানি যে আমরা কে এবং কী অর্জন করতে সক্ষম।’
এর পরই অক্টোবর মাসে বার্বাডোজের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন মাসন। তবে বার্বাডোজের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, “ক্ষমতার হাতবদল হলেও দেশের প্রকৃত সমস্যা সমাধানে নজর দেয় না কেউ-ই। আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেখানেই থেকে যাই।”
সোমবার সন্ধে থেকে শুরু হবে সরকারি অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন সান্ড্রা মাসন (Sandra Mason)। বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের রাজ পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে বার্বাডোজের দেখভাল করেন। তাঁর হাতে দায়িত্বভার তুলে দেবেন ব্রিটেনের রাজ পরিবারের বংশধর প্রিন্স চার্লস। সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে দায়িত্বের হাতবদল হতে চলেছে বলে খবর।