অনেকেই আছে ধার করে থাকেন, এমন অনেক কিছু কেনা বা কোনও প্রয়োজনে ধার করে খাজেন। আর এই ধার করা টাকা শোধ করতেও হয়। কিন্তু একজন এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, যে ঋণের টাকা এতটাই বেশিই ছিল যে শোধ করতে না পেরে নিজেই শেষে কঠোর পদক্ষেপ নিলেন এক ব্যক্তি। নিজেও নিজের দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে খুন করে ফেললেন এরপর আবার নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেন। অবশ্য ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। ফলে স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে ফেললেও নিজে আর আত্মহত্যা করতে পারলেন না।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিন রাতের দিকে। বাংলাদেশের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে সেদিন রাতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ওই অভিযুক্তের নাম আসাদুজ্জামান রুবেল। অভিযুক্ত শশুর বাড়িতে বসবাস করতেন নিজের স্ত্রী সন্তানদের নিয়েই । অভিযোগ,দিনের পর দিন ঋণ নিতে নিতে ঋণের বোঝা আর সইতে পারছিলেন না। সংসারে খুব অভাব দেখাদেয় পাশাপাশি ক্রমাগত অপমান আর নিতে পারেননি। আর এই অপমান না নিতে পেরেi শনিবারদিন রাতের দিকে এই অঘটন ঘটায়। স্ত্রী লাভলি বেগম এবং দুই মেয়ে, ছোঁয়া আক্তার ও কথা আক্তার, রাতে যখন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সেই সোনায় রুবেল তাদের খুন করে অভিযুক্ত। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে অভিযোগ ।
এখানেই থেমে থাকেনি সে এরপর আরও এক কাণ্ড ঘটাতে যায়। রবিাবর ভোরের দিকে আত্মহত্যা করার জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উপরে শুয়ে থাকে অভিযুক্ত। এলাকার লোকজন রবিবার সকালে বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই এরপর রুবেলকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।