এক অবাক করা ঘটনা ঘটালেন বাংলাদেশের রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনি নামের এক (Bangladesh) যুবক, উনি তার দুজন প্রেমিকাকে একসাথেই বিয়ে করেছেন। আরও অবাক করা ব্যাপার হল এই তিনজনের পরিবারের মধ্যে এই অদ্ভুত বিয়ে নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু এই বিয়ের ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রোহিনী বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার বলরামপুর-লক্ষীদ্বার গ্রাম এলাকায়, আর সেই বাড়িতেই রনির সাথে তার দুই প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা যামিনীচন্দ্র বর্মন বাবুর ছেলে রোহিনী।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে , বছর ২০ এর ইতি রানী ওই একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ের সঙ্গে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এমনকি একসময়ে দুজনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেছিলেন। যদিও সেই বিষয় টি দুজনেই গোপন করে রেখেছিলেন।
তার মধ্যেই আবার রোহিনীর সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বছর ১৮এর মমতা রানী যিনি লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনোকিসর রায়ের মেয়ে। গত ১২ এপ্রিল রাতে প্রেমের সূত্রে মমতা রানীর সঙ্গে দেখা করতে যান রনি। তখনই রোহিনী আর মমতাকে তার পরিবারের লোকজন দেখে ফেলেন। তারপর পরিবারের লোকজন ১৩ই এপ্রিল বিয়ের ঠিক করেন তাদের। অন্যদিকে , ইতি রানী আবার রোহিনী বর্মনের এই বিয়ের খবর শুনে অনশনে বসে যান নিজের বাড়িতে। শেষে ওই বুধবারদিন রাতেই রোহিনীর বাড়িতেই অনুষ্ঠান করেই আবার দুজন প্রেমিকাকে রোহিনীর সাথে বিয়ে দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে যখন রোহিনী বর্মন কে ফোনে যোগাযোগ করা হয় তখন সে ফোনটি কেটে দেন। তারপর ১৩ই এপ্রিল যখন আগের স্ত্রী ইতি রানি মমতা ও রনির বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর পান। তিনি অনশনে বসে যান রনির বাড়ির সামনেই। কোনও উপায় না পেয়েই অবশেষে তিন পরিবার থেকে ওদের বিয়ে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান করেই। রনির বাবা যামিনীচন্দ্র বর্মন বলেছেন, ” আমাদের আপত্তি ছিল না একসঙ্গে দু’জনকে ঘরে তুলতে। তবে যেহেতু আগের বিয়ের বিষয়ে জানা ছিল না, তাই আমি আবার ছেলের বিয়ের আয়োজন করেছিলাম নতুন করে।” ইতি রানির বাবা গিরিশচন্দ্র জানিয়েছেন, ”কোনও অভিযোগ আমাদের নেই। আমরা তিন পরিবারের লোকজনই রোহিনী চন্দ্র রনির বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়েতে ছিলাম।” বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বলেছেন , ” শুনেছি বিষয়টি। তবে কোনও পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে অভিযোগ আসেনি।”