বিয়ে হয়েছে অনেকদিন। প্রায় ১২ বছর অতিবাহিত হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজের সূত্রে লিবিয়ায় থাকেন স্বামী। দুই সন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন গৃহবধূ। দীর্ঘ সময় ধরে একলা যাপন করতে করতে গ্রাস করেছিল একাকীত্ব। এইভাবেই ঝুঁকে পরেন অন্য পরপুরুষের প্রতি। এক যুবকের সাথে অবৈধ ‘সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে তার। সেই সম্পর্কের টানেই অবশেষে ‘চরম পদক্ষেপ’ নিয়ে নিলেন একা থাকা গৃহবধূ। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী , গত রবিবার অর্থাৎ ২৭শে মার্চ সকালে ওই গৃহবধূ বাড়িতে কাউকে কিছু না বলেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তার দুই সন্তান কেও বাড়িতে রেখে গেছেন। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়, যদিও ওই মহিলা আর ফেরেননি বাড়ি। ওই মহিলার শাশুড়ি বেশ অনেকটা সময় অপেক্ষা করছিলেন তার ফেরার, অগত্যা তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে , তিনি ২০ লক্ষ টাকা এবং ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ১২ ভরি সোনার গয়না নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ওই মহিলার শাশুড়ি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে ,সমাজ মাধ্যম ফেসবুকের মারফত তাঁর ‘বউমা’র সম্পর্ক তৈরি হয় এক যুবকের সঙ্গে। তার ছেলেও কয়েকদিনের মধ্যে জেনে গিয়েছিলেন তার স্ত্রীয়ের এই অবৈধ সম্পর্কের কথা। অনেকবার বারণ করা সত্বেও সে কোনও বাধা মানতে চায়নি। উল্টে এই রকম এক পদক্ষেপ নিল সে।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার টান কৃষ্ণনগর এলাকায় গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলার শাশুড়ি। তিনি জানান, টাকা পয়সার সাথে সোনার গহনাও নিয়ে যায় তার প্রেমিকের কথায়। পুলিস ঘটনার যথাযত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রেমিক যুবক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতা মারা গিয়েছেন বেশ কিছুদিন আগে। যুবকের পরিচয় জানা গেছে মৃত আব্দুর রেহমানের ছেলে নাম আব্দুল আল খালিদ। বয়স বছর ত্রিশ।