বালি নিখোঁজ কাণ্ডে ৫ দিন পর অবশেষে খোঁজ মিলল বাড়ির ২ বউ ও নাতির। পুলিস সূত্রে খবর, শ্রীরামপুরে শপিং করতে যাওয়ার নামে রাজমিস্ত্রি ‘প্রেমিকে’র সঙ্গে প্রথমে মুর্শিদাবাদে, তারপর মুম্বই ‘পালিয়ে গিয়েছেন’ ২ বউ। একটি ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই এই খোঁজ পেয়েছে পুলিস। নিখোঁজ কাণ্ডে ‘মিসিং লিঙ্ক’ এই ফোন নম্বর। বড় বউয়ের মোবাইলের কললিস্ট ধরে তদন্তেই মেলে সাফল্য। তবে বাড়ির ৭ বছরের নাতিও কি ২ বউয়ের সঙ্গে মুম্বইতেই রয়েছে? সে প্রশ্নে ধোঁয়াশা রয়েছে। আপাতত মুম্বইয়ে তাঁদের সঠিক অবস্থান জানার চেষ্টা করছে পুলিস। একটি বিশেষ দল গঠন করে মুম্বইতে পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে শীতের পোষাক কেনাকাটার করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন বালির নিশ্চিন্দা থানার সাঁপুইপাড়া এলাকার বাসিন্দা কর্মকার পরিবারের ২ বউ। ৭ বছরের নাতি আয়ুশকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি থেকে বের হন বড় বউ অনন্যা কর্মকার ও ছোট বউ রিয়া কর্মকার। তারপর সেদিন বিকাল থেকেই তাদের আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। একদিকে মোবাইল সুইচড অফ। অন্যদিকে, বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতের বাড়ি গিয়েও নাতি এবং ২ বউয়ের কোনও হদিশ মেলেনি। এদিকে শেষবারের মত তাদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিটে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তে নেমে একটি ফোন নম্বর উঠে আসে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। নিখোঁজ কাণ্ডে এই ফোন নম্বরই হয়ে দাঁড়ায় ‘মিসিং লিঙ্ক’।
বড় বউ অনন্যার মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে একটি অচেনা নম্বর পায় পুলিস। দেখা যায়, ঘটনার দিন ওই অচেনা নম্বর থেকে বেশ কয়েকবার ফোন এসেছিল বাড়ির বউয়ের কাছে। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে যে, ওই নম্বর হচ্ছে সুভাষ বলে এক রাজমিস্ত্রির। এরপরই রবিবার মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকায় সুভাষের বাড়িতে অভিযান চালায় নিশিন্দা থানার পুলিস। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। জানা যায়, সুতিতে একদিন থাকার পরই সবাই মিলে মুম্বইতে চলে যান। জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দার কর্মকার বাড়ি সংস্কার করা হয়। পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হয়। সেইসময় বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল সুভাষ ও শেখর নামে ২ রাজমিস্ত্রি। তখনই বাড়ির ২ বউয়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ হয় দু’জনের। ২ রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ‘প্রণয়ের সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে বাড়ির ২ বউয়ের। যদিও এবিষয়ে বাড়ির লোক মুখ খুলতে চায়নি।