লুকোছাপা কোনোদিনই ছিল না’, বিজয়া দশমীর দিন শোভনের হাতে সিঁদুর পরে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দশমীর দিন এক টিভি চ্যানেলের দুর্গাপুজোর সম্পর্কিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মা দুর্গার দশমীর সামনে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বৈশাখীর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিল শোভন! এমন একটি ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত আলোচনা নেট পাড়ায়। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিজয়া দশমীতে দুর্গা প্রতিমার সামনে দাড়িয়ে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে গুঞ্জন উঠেছিল, ছবিটি হয়ত ভুয়ো। কেননা স্বীকৃতির অভাব না থাকলেও শোভন বাবু বা বৈশাখী দেবী কারোরই কিন্তু পূর্ব সম্পর্ক থেকে ডিভোর্স হয়নি। কিন্তু, পরে ‘এই সময়’ নামক এক বাংলা ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছেন, ‘এই ছবিটি আসল।’ এটা ভুয়ো ছবি নয়।
বৈশাখী দেবী এই দিন আরো বলেন, ‘আসলে সমাজের মধ্যে স্বীকৃতির অভাব । সমাজ এটাও দেখছে আমাদের মধ্যে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সততার কোনও অভাব নেই। আমরা দুটো নির্জীব সম্পর্ককে টেনে না নিয়ে গিয়ে আমরা সেটাকে সমাপ্ত করে আমাদের যে সম্পর্কে আনন্দ, যেখানে শান্তি সেটাকে বেছে নিয়েছি। হয়ত এটা দর্শকদের কাছে একটা নতুন বিষয়। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা আমাদের জীবন স্বাভাবিক ভাবেই যাপন করি, আপনারাও আমাদের স্বাভাবিক আঙ্গিকে দেখলে ভালো লাগবে’। কিন্তু কবে তিনি এবং শোভন বাবু বিয়ে করতে চলেছেন, এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ এটা সময় বলবে।’
এই দিকে শোভন বৈশাখী সম্পর্ক চূড়ান্ত পরিণতি পাবে কিনা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে শোভন বাবুর পত্নী রত্না চ্যাটার্জীর হুঙ্কার, তিনি কখনও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দেবেন না। যে বিজয়া দশমীর দিন এত ঘটনা সেই দিনই রত্না চট্টোপাধ্যায় এক বাংলা সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, ‘ওঁরা যা পারছে করছে। কিন্তু, ভুলে যাচ্ছে দেশে এখনও আইন কানুন রয়েছে। আইনের চোখে শোভন এখনও আমার স্বামী। দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে। আমি ওদের সম্পর্কে সেই বাঁশ।