বৃহস্পতিবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের নরসিপটনমের NTR হাসপাতালে আচমকাই প্রসব বেদনা অনুভব করেন এক অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু, সেই সময় হাসপাতালে কারেন্ট ছিল না। কিন্তু ক্রমশ বাড়ছিল ওই প্রসূতির প্রসব বেদনা। এই অবস্থায় কোনও উপায় না দেখে, অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর শিশুর প্রাণ রক্ষা করতে, শেষ পর্যন্ত মোবাইলের আলোতেই সন্তান প্রসব করেন ওই প্রসূতি। জানা গিয়েছে, একাধিক মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানো হয় অপারেশন থিয়েটারে। সেই সঙ্গে জোগাড় করা হয় টর্চ এবং মোমবাতিও।
এদিকে, ওই মহিলার স্বামী এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘কেবল আমার স্ত্রীই নয়, আরও বহু সংখ্যক রোগী এই সমস্যায় পড়েছেন। হাসপাতালগুলিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমি তো কল্পনাও করতে পারছি না এখনও, কিছু যদি হয়ে যেত, আমরা কী করতাম। শিউরে উঠছি সেকথা ভেবেই।’ সূত্রের খবর , মা এবং সদ্যোজাত উভয়েই ভালো এবং সুস্থ আছে।
কিন্তু এই অন্ধকার, বিদ্যুৎহীন পরিবেশে কীভাবে অপারেশন থিয়েটারে ডেলিভারি সম্ভব হচ্ছে? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে এই ঘটনার পর। কেন হাসপাতালের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি? এই ব্যাপারে ওই হাসপাতালের নার্সরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের জেনারেটর খারাপ ছিল। সকলেরই অবস্থা খারাপ এর উপর রয়েছে প্রসূতি ওয়ার্ডের ভিতরে অত্যাধিক মশার উপদ্রব। উল্লেখ্য, এই অবস্থা গোটা রাজ্য জুড়েই। লোডশেডিংয়ের সেখানে সমস্যা চলছে। এই সমস্যা ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বলে সূত্রের খবর। এর সঙ্গে জেনারেটরও পাওয়া যাচ্ছে না অধিকাংশ হাসপাতালে।
এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়েছেন। মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই ক্যাবিনেট থেকে ইস্তফা দেন। ২০২৪ -এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। তাই এই সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, আগামী ১১ এপ্রিল নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।