২০১৯ সালের শেষ ভাগে চীনেরই এক শহর পড়েছিল করোনা ভাইরাসের বিপর্যয়ের মুখে। চীনের উহান থেকেই শুরু হয়েছিল বিশ্বব্যাপী এক ত্রাস যার নাম কোভিড -১৯।
চীন থেকে শুরু হয়ে সারা বিশ্বে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। এরই ভেতর শোনা যাচ্ছে আর একটি চাঞ্চল্যকর খবর। এই খবরটি ছড়িয়েছে চিনের গুয়াংডং প্রদেশের তাইশান শহরকে কেন্দ্র করে। জানা যাচ্ছে সেই শহরের পারমাণবিক প্ল্যান্ট থেকে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে বিপর্যয়ের সন্মুখীন হয়েছে গোটা শহর। তাইশান শহরে বসবাসকারী প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষের প্রাণ হয়েছে বিপন্ন।
যদিও প্রতিবারের মতন এবারেও চিন এই বিষয়ে নিশ্চুপ। কিন্তু এই চিনা পারমাণবিক সংস্থাটির অংশীদার একটি ফরাসি সংস্থা যার নাম ফ্রামাটোন। তারাই গোটা পৃথিবীর সামনে এই তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের ঘটনা ফাঁস করেছে। আর এই ফরাসি পারমাণবিক সংস্থার সতর্কবার্তা পেয়েই তৎপর হয়েছে আমেরিকা। চীনের এই পারমাণবিক প্ল্যান্টে ঠিক কতটা বিকিরণ ঘটছে, তা জানতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আমেরিকা। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
তবে সূত্র অনুযায়ী, আর্থিক লোকসানের ভয়ে এই প্ল্যান্টকে বন্ধ করতে রাজি না চিন। তাদের দাবি , তাইশানের পারমাণবিক প্ল্যান্টে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ঠিক রয়েছে। পারমানবিক কেন্দ্রের আশেপাশে বিকিরণের মাত্রায় কোনও বিপদ নেই এবং সুরক্ষা নিশ্চিত আছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে চিন।
কিন্তু তাতে সস্তি পাচ্ছে না গোটা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বলছে, আর্থিক লোকসানের আশঙ্কায় পারমাণবিক চুল্লি যাতে বন্ধ করে দিতে না হয়, তার জন্য চুল্লি থেকে তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গমনের সীমা টানা বাড়িয়েই চলেছিল চীন। আর এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে খুব বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন।