মোহালির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের স্নান করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে রঙ্কজ, সানি, হোস্টেলের ছাত্রী এবং হুমকিদাতা সেনা কর্মকর্তা। এবার এই মামলায় অভিযুক্ত সানির বোন মিডিয়ার সামনে এসেছেন, যিনি দাবী করেছেন যে তার ভাইকে ফাঁসানো হচ্ছে।
অভিযুক্ত সানির বোন জানান তার ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃতপক্ষে সত্য হলো, নবম শ্রেণির পরই সানি পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং এখন তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, গত ৩ বছর ধরে অভিযুক্ত ছাত্রী ও সানির মধ্যে যোগাযোগ ছিল না। অভিযুক্তের আরেক বোন দীপা বলেন, সানি কখনও হিমাচল থেকে বের হননি, পাঞ্জাব তো দূরের কথা।
বোনের দাবি সানি ৯ম পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে
আসামি সানির আইনজীবী বলেন, কোনো ভিত্তি ছাড়াই সানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও সে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপারটা হলো সানি গ্রামে থাকেন, এবং কৃষিশ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। সানি এবং স্মাইলির দেখা হয়েছিল ৩ বছর আগে একটি বেকারিতে, যেখানে স্মাইলি সানিকে মেসেজ পাঠাচ্ছিলেন সেখান থেকে কেক কিনতে। যাতে তিনি তার সাথে কথা বলতে পারেন, কিন্তু সানি তার নম্বর ব্লক লিস্টে রেখেছিলেন, এরপর গত তিন বছর সানি ও স্মাইলির মধ্যে কোনো কথা হয়নি।
তদন্ত করছে এসআইটি
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মোহালির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে ৫০-৬০ জন ছাত্রীর স্নান করার ভিডিও পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৬ দিনের জন্য ক্লাস স্থগিত করে এবং অভিযুক্ত ছাত্রসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাঞ্জাব সরকার কর্তৃক গঠিত একটি এসআইটি এই বিষয়ে তদন্ত করছে।