এইদিন আবারও চোখের জল ফেলতে দেখা গেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশ মতন জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বেরোনোর সময় ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় এসএসসি পরীক্ষা দুর্নীতির সাথে নাম জড়ানো অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।
ইডির গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাকে এইদিন। প্রসঙ্গত এর আগে শুক্রবার দিনও গাড়ির পিছনের সিটে বসে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। শেষ অবধি তাকে জোরপূর্বক নামানো হলে তিনি প্রায় রাস্তায় বসে পড়েন। রাস্তা থেকে তাকে একপ্রকার জোর করে তুলে কোনক্রমে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু প্রায় হুলুস্থূলু অবস্থার সৃষ্টি হয়। হুইল চেয়ারে বসে রীতিমতো হাত পা ছুড়তে দেখা যায় তাকে। বোঝাই যাচ্ছিল চাপের মুখে বেশ ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।
আজ অবশ্য ঢোকার সময় এমন কিছু হয়নি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুড়লে তিনি জবাব দেন যে টাকা তার নয়। হাসপাতালে ঢোকার সময় অর্পিতা জানান, যে এই টাকা তার নয়। যখন সে উপস্থিত ছিল না এবং তার অজ্ঞাতসারেই এই টাকা তার ফ্ল্যাটে রাখা হয়। এরপর অর্পিতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এই টাকা যেত কোথায়? সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য নীরবতা রেখেছেন অর্পিতা।
গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল ভাবে আলোচিত দুটি নাম। পার্থ-অর্পিতা! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে সামনে এসেছে অর্পিতা মুখার্জির নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ী থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে খোঁজ মেলে অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাটের। তারপর সেখানে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। যা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির সাথেই জড়িত বলে প্রাথমিক অনুমান। এরপর থেকেই একের পর এক ঘটনায় সামনে আসছে সব চাঞ্চল্যকর তথ্য যাতে আপাতত গোটা ভারতের চোখ এই রাজ্যের উপর।