গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল ভাবে আলোচিত দুটি নাম। পার্থ-অর্পিতা! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে সামনে এসেছে অর্পিতা মুখার্জির নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ী থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে খোঁজ মেলে অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাটের। তারপর সেখানে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। যা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির সাথেই জড়িত বলে প্রাথমিক অনুমান।
কিন্তু তাদের মধ্যে ঠিক কি সম্পর্ক? কতটা ঘনিষ্ঠ হলে ঘটনার জল এতদূর গড়াতে পারে? প্রবল জল্পনা চলছিল প্রথম থেকেই। প্রসঙ্গত ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর একে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অর্পিতা মুখার্জি সহায়তা করছে প্রথম থেকেই এমন খবর নানা সূত্রে। এবারে তার আর পার্থর মধ্যে ঠিক কি সম্পর্ক? সেই নিয়েও মুখ খুললেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এমনটাই জানা যাচ্ছে।
টিভি৯ বাংলার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জানিয়েছেন ২০১২ সাল থেকে তাদের মধ্যে পরিচয় হলেও তখন তাদের মধ্যে এত ঘনিষ্ঠতা ছিল না। ২০১৭ সালের পর থেকেই তারা কাছাকাছি আসে। আসলে নাকি ২০১৭ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে নিঃসঙ্গতায় ভুগছিলেন। সেই সময় ঘনিষ্ঠতা বাড়লো পার্থ – অর্পিতার। এরপরই আস্তে আস্তে একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হন তারা।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, তাদের বন্ধুত্ত্ব কতোটা ঘনিষ্ঠ সেই কথা জেরার সময় নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সূত্র অনুযায়ী খবর, তিনি ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখে জানিয়েছেন, দুজনের বয়সের পার্থক্য থাকেলও নাকি ভাল বন্ধু ছিলেন পার্থ। কিন্তু তার রাজনৈতিক বিষয়ে নাক গলাতেন না!
কিন্তু তার ফ্ল্যাটে তাহলে এত এত টাকা এলো কোথা থেকে? জানিয়েছেন টাকা আসতো খাম বন্দী হয়ে। প্রথম প্রথম তিনি জানতেন তাতে কিছু দরকারি নথিপত্র রয়েছে। কিন্তু সেই সব খামে টাকা থাকার কথা তিনি পরে জানতে পারেন। নানা সময়ে নানা লোক এসে এই সব টাকা রেখে যেত বলে দাবি করেছেন তিনি।
কিন্তু টাকার কথা কি জানতেন? সেটাও অর্পিতা একেবারে অস্বীকার করেননি বলেই জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছেন সরকারি ছাপ মারা খামে যে টাকা রয়েছে, তা তিনি অনেক পরে জানতে পেরেছিলেন। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন সময়ে এসে তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা রেখে যেতেন বলেও দাবি করেছেন অর্পিতা। কিন্তু সূত্রের খবর, জেরায় তিনি জানিয়েছেন, টাকার কথা প্রথমে জানতে পারেননি। তিনি জানতেন খামে করে জরুরি নথিপত্র আসে। পরে বুঝতে পেরেছিলেন, ওই সব খামে আসলে রয়েছে টাকা। সেই সব টাকা কার জিজ্ঞেস করলে পার্থ নাকি বলেছেন যেমন আছে ওগুলো তেমনই থাকুক।