সন্দেহ নেই, কলা আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এমন মানুষ খুব কমই আছেন যিনি কলা খেতে পছন্দ করেন না। ইতিহাসে রয়েছে, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ সালে ভারতবর্ষ আক্রমণে এসে মহাবীর আলেকজান্ডার কলা গাছ এবং খাদ্য হিসাবে কলার ব্যাবহার দেখেছেন। কলার অনেক পুষ্টিগুণ। পেট ভরতে আর শরীরের বিভিন্ন খনিজ আর কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ করতে কলার ভূমিকা অপরিসীম। তবে জানেন কি কলা কিছুটা হলেও তেজষ্ক্রিয়। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। তাহলে যে আমরা কলা খাই।তাহলে কি এই কলা থেকে আমাদের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রভাব পড়ার কোনো কারণ আছে। কি বলছে বিজ্ঞান? জেনে নিন।
অধিকাংশ কলা গাছ প্রায় দুই বছর পর্যন্ত বাঁচে। কলাগাছের হেন কোনো অংশ নেই যা মানুষের কাজে লাগে না। তবে অন্যান্য যে কোনো ফলের চেয়ে কলা একটু বেশি মাত্রায় তেজষ্ক্রিয়। কারণে কলায় পটাশিয়ামের মাত্রা একটু বেশি থাকে। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বিজ্ঞান বলছে বিশ্বের মধ্যে “সমস্ত” বস্তুই কম কি বেশি পরিমাণে তেজস্ক্রিয়। কলাও তাই। কলা অন্য ফলের চেয়ে সামান্য বেশি তেজষ্ক্রিয় হলেও কলার মধ্যে সেই ভাবে বিশেষ পরিমানে কোনো তেজস্ক্রিয়তা থাকে না, তাই কলা খেলে কোন মানুষের “তেজস্ক্রিয়তা” থেকে কোন ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
কলা হাই ক্যালোরি হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু কাঁচা অবস্থায় কলায় কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ বেশি থাকলেও যত বেশি পাকবে ফলের সুগার বা ফ্রুকটোজ এর পরিমাণ তত বাড়বে।
কিন্তু কলা বি-৬ নামের ভিটামিনের অন্যতম উৎস। এতে অন্য ভিটামিন, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও পটাশিয়ামও থাকে। তাই নির্ভয়ে কলা খান।