অতিমারির সঙ্কটে ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের ঘাটতি কে সামাল দিতে, গত মে মাসেই রাশিয়ায় তৈরি ” করোনা টিকার ব্যবহারে ছাড়পত্র প্রদান করেছিল ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারাল। সেই মতন মে মাসের ২৯ তারিখ রাশিয়া থেকে হায়দরাবাদে পৌঁছয় স্পুটনিক-ভি- এর দেড় লক্ষ ডোজ।
সোমবার থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে শুরু হচ্ছে স্পুটনিক-ভি টিকাকরণ। এর দামও নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। এক একটি স্পুটনিক-ভি ডোজের জন্য টীকা গ্রহণকারী কে গুনতে হবে ১ হাজার ২৫০ টাকা। অর্থাৎ স্পুটনিক-ভির দুটি ডোজ নিতে একজনের খরচ হবে সর্বসাকুল্যে আড়াই হাজার টাকা।
বাণিজ্যিক ভাবে চালু হওয়ার আগে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কে দেওয়া হলো রাশিয়ান টিকা স্পুটনিক ভি-র প্রথম ডোজ। কলকাতার আর এন টেগর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে এই সেচ্ছাসেবক দের টীকা দেওয়া হয়েছে।
টিকার চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না হওয়ায় কোথাও রাত থেকে টিকার জন্যে অপেক্ষমান লম্বা লাইন। কোথাও আবার ঝুলানো হয়েছে নো ভ্যাকসিন বোর্ড। দেশের না না জায়গার মতো পশ্চিমবঙ্গেও, করোনা টিকার চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিস্তর ফারাকটা বারবার পরিলক্ষিত হয়েছে । এই প্রেক্ষাপটে আশার খবর, ভারতের কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের পাশাপাশি এবার কলকাতায় শুরু হচ্ছে রাশিয়ার তৈরী স্পুটনিক ভি-র টিকাকরণ।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন স্পুটনিক ভি-র ভ্যাকসিনে দুটো আলাদা স্পাইক প্রোটিন কে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের মতে এতে দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। প্রথম ডোজের ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সর্বোচ্চ ৯১.৬ শতাংশ। রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা মাত্র ০.১ শতাংশ।