করোনা নিয়ে নাজেহাল অবস্থা বিশ্ববাসীর। এর মধ্যেই বিশ্বের থাবা বসাচ্ছে অতি সংক্রামক নোরোভাইরাস (Norovirus)। ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (Public Health England) বা PHE জানিয়েছে যে মে মাসের শেষের দিক থেকে তার পরের পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ইংল্যান্ডে নোরোভাইরাসের ১৫৪ টি কেস সামনে এসেছে।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই ভাইরাসের সংক্রমন আগের পাঁচ বছরে একই সময়ের তুলনায় এই বছরে তিনগুণ বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমন লক্ষ্য করা গেছে বিশেষত নার্সারি এবং শিশু যত্নের সুবিধায় সাথে যুক্ত স্থানগুলিতে। অর্থাৎ এই সমস্ত জায়গার শিশুদের দেহে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে।
কী এই নোরো ভাইরাস?
নোরো ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন , নোরো ভাইরাসে সংক্রমিত কোনো ব্যক্তি কোটি কোটি ভাইরাস নিজের দেহ থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন। আর এর মধ্যে কোনো ভাইরাসের সামান্য অংশও যদি অন্য কারোর দেহে প্রবেশ করে সে সংক্রমিত হতে পারেন। তাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেন্টসন (Centers for Disease Control and Prevention) বা সিডিসি (CDC) নোরোভাইরাসের নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি তালিকাভুক্ত করেছেন: ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, এবং পেটে ব্যথা। অনেক সময় এই ভাইরাসের সংক্রমন পেট বা অন্ত্রের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে – একে তীব্র গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিস (acute gastroenteritis) বলে।
কীভাবে ছড়াতে পারে নোরো ভাইরাস সংক্রমণ?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির বমি থেকে ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ। এমনকী, সংক্রমিত ব্যাক্তির জল, খাবার থেকে ছড়ায় সংক্রমণ। হাত থেকে মুখের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে নোরো ভাইরাস। তাই খাওয়ার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে খাওয়া উচিৎ।
কী করণীয়?
এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যাক্তির ডাইরিয়া ও বমি হয়। তাই শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। তাই এই সংক্রমন হলে বেশি করে জল বা তরল খাবার খেতে বলেন ডাক্তাররা। তবে নোরো ভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ এখনও তৈরি হয়নি।