গত ১লা জুন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় কে শোকজ করেছিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দফতর। কেন্দ্র সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি এ. কে. সিং আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে শো-কজ করে জানতে চেয়েছিলেন গত ২৮শে মে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে তিনি কেন হাজির ছিলেন না? ৩রা জুনের মধ্যে আলপন বন্দোপাধ্যায়কে সেই শো কজের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। সময়সীমা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সেই উত্তর দিলেন আলাপন।
উত্তরে এই দিন আলাপন বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুণ্ডার বৈঠকে সেদিন আমি উপস্থিত হয়েছিলাম। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতনই তার সঙ্গে বেরিয়ে যাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর রিপোর্ট দিয়ে তার অনুমতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেরিয়ে আসি, আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে কাজ করি। তাই তাঁর নির্দেশ মেনে চলতে হয়।’
আলাপনের এই জবাব কেন্দ্রীয় সরকার গ্রহণ করে কি না তা এখন সেটাই দেখার। ব্যাখ্যা ঠিক না লাগল আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হতে পারে।
প্রসঙ্গত ৩১ মে ছিল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের মুখ্য সচিব হিসেবে শেষ দিন। সেদিনই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে অন্য দায়িত্বে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি না পৌঁছে উল্টে সেই দিনই অবসর নেন আলাপন। তাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর কথা থাকলেও, শেষপর্যন্ত আর চাকরির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিনই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ করার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার থেকেই এই দায়িত্বে যোগ দিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।