জাল ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে ধরা পড়ে ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেব। কি ছিল না তার , ঝাঁ চকচকে অফিস থেকে নীলবাতি লাগানো গাড়ি। আবারও সেই একই ধরনের আইএএস সেজে লোক প্রতারনার অভিযোগ। সেই একই ভাবে নীলবাতি লাগানো গাড়ি চড়ে আইএএস (IAS) সেজে থাকা, চাকরি দেওয়ার টোপ সহ নানা অভিযোগ এবার কৃষ্ণনগরের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। অচিন্ত্য চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ৷ ইতিমধ্যেই তার নামে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়।
কিভাবে ধরা পড়লো নিজেকে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস হোল্ডার বলে দাবী করা অচিন্ত্য চৌধুরী?
জানা গেছে অভিজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একাধিক বার তাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে না হলেও প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে অচিন্ত্য চৌধুরী নামে ওই ভুয়ো আইএএস অফিসার (Fake IAS Officer)। কল্যাণীর বাসিন্দা অভিজিৎ রায় , অচিন্ত্য চৌধুরী কে কাজ পাওয়ার আশায় টাকা দিতেও থাকেন দীর্ঘদিন ধরে৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে লাখ লাখ টাকা দিয়েও কাজ না পাওয়ায় অভিজিৎ বাবুর সন্দেহ হয় যে অচিন্ত্য চৌধুরী আদৌ আইএএস অফিসার কি না। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করেন অভিজিৎ রায় ৷ দেখেন অচিন্ত্য চৌধুরী আদপেই আইএএস নন, তিনি নিজেকে আইএএস অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তারপরই প্রতারিত অভিজিৎ বাবু থানায় অভিযোগ জানান৷
কিছু দিন আগেই নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা নিজেকে সিআইডি পরিচয় দিয়ে এক মহিলা লক্ষ লক্ষ টাকা কারচুপির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। আবারও নিজেকে আইএএস পরিচয় দিয়ে সেই ঘটনার ছায়া যেন অচিন্ত্য চৌধুরীর ঘটনায়৷ রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, “বহুদিন ধরে অভিজিৎ রায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও জমা নেওয়া হয়নি তাঁর অভিযোগ । অর্থাৎ এর দ্বারা পরিষ্কার যে এই রাজ্যের শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা এই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ।”
স্থানীয়দের দাবি তারা অচিন্ত্য কে বিভিন্ন লরি আটকে তোলা তুলতে দেখত। যদিও তার সম্পর্কে তারা বেশী কিছু জানত না। অচিন্ত্য চৌধুরীর পরিবারের অবশ্য দাবি নিজেকে আইএএস বলে পরিচয় দেয়নি তিনি। গাড়ির ব্যাবসা ছিল তার।