দেশে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে একলাফে ৩০ শতাংশ বাড়ল করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন, প্রাণ হারিয়েছেন ২৬৮ জন। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। ভারতে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। মোট ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬১ জন।
সারা দেশের মধ্যে দিল্লি ও মহারাষ্ট্রেই সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্ত। তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ওমিক্রন আক্রান্ত একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬২। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্রেও আড়াইশো পার করে দিয়েছে ওমিক্রন। মহারাষ্ট্রে মোট ওমিক্রন আক্রান্ত ২৫১ জন। এই পরিস্থিতিতে মুম্বইতে বর্ষবরণ উৎসব নিয়ে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। হোটেল, রেস্তরাঁ, পানশালায় পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রসঙ্গত নতুন ১৩,১৫৪টি কোভিড কেসের মধ্যে ৮৬ শতাংশ-ই দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের।
দেশের পাশাপাশি, বাংলাতেও বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পরশু মঙ্গলবার সারা রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন ৭৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় একলাফে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর ফের রাজ্যে হাজারের গন্ডি ছাড়াল করোনার সংক্রমণ। বুধবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,১৫৯ জন। তারমধ্যে কলকাতাতেই একদিনে ৫০০ পার করেছে সংক্রমণ। বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। রাজ্যে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০। বড়দিনের উৎসবে লাগামহীন জনসমাগম ও সেখানে করোনা বিধির প্রতি উদাসীনতা-ই রাজ্যে করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।