আফগানিস্তানে মহিলা স্বাধীনতার দুর্দিন। ফিরে এসেছে তালিবান। রাতারাতি আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসতেই বেড়েছে বোরখার বিক্রী বাট্টা। এই সব দেখে দেশ ছাড়লেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) জনপ্রিয় পপ তারকা আরিয়ানা সইদ (Aryana Sayeed)। একসময় নিজের বোল্ড লুকের কারণে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। আফগানিস্তান ফের তালিবানের (Taliban) দখলে এমনকি রাজধানী কাবুলও। আগামীতে পরিস্থিতি কি হতে চলেছে ভেবেই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আরিয়ানা। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে নিজের ফলোয়ারদের আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিলেন, তিনি ঠিক আছেন। সেই সঙ্গে জানালেন, গত দু’দিন রাত উৎকণ্ঠায় দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছেন তিনি। অনেক চিন্তাভাবনার পরে অবশেষে দেশ ছাড়লেন।
এতদিন কোনো কঠোর ইসলামিক পোশাক হিজাব কিংবা বোরখা, কোনও কিছুই পড়েননি আরিয়ানা। খোলামেলা পোশাকেই দিব্যি সব জায়গায় গেছেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের শো করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলেও কাজ করেছেন। ‘দ্য ভয়েস অফ আফগান’ নামক গানের অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে ছিলেন এই পপ তারকা। জন্ম আফগানিস্তানে হলেও আরিয়ানার বড় হয়েছেন সুইৎজারল্যান্ড ও লন্ডনে। সেই সূত্রেই পাশ্চাত্য ভাবধারায় বিশ্বাসী তিনি। তার মা ছিলেন তাজিব নামক আফগান জনগোষ্ঠীর মানুষ। যাঁরা কিনা একসময় তালিবানদের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিল প্রতিরোধ। ২০১১ সালে আফগান জনগণের মধ্যে তাঁর ‘আফগান পেশারক’ গানের জনপ্রিয়তা দেখেই ফের আফগানিস্তানে ফেরেন আরিয়ানা সঈদ। দেশে ফিরেও যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন আরিয়ানা।
কিন্তু কাবুলে তালিবান ঢুকে পড়ার পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তানে আবারও শুরু হচ্ছে এক অন্ধকার অধ্যায়। তালিবান ইতিমধ্যেই মহিলাদের জানিয়ে দিয়েছে বোরখা পরা বাধ্যতামূলক না হলেও হিজাব সকলকে পড়তেই হবে। মেয়েদের বিভিন্ন অফিস ও কর্মক্ষেত্রেও আসতে বারণ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেদেশের মেয়েদের করুণ অবস্থা ঘিরে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্বই। শরিয়ত আইন মেনে মেয়েদের অধিকার দেওয়া হবে দাবি করলেও আসলে যে কি তালিবানের উদ্দেশ্য তা স্পষ্ট হয়ে যায়।