মেয়েকে ধর্ষণের পর তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় বাবা-মেয়ে নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং মেয়ে এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে ঘটনার কিছুই তার মনে ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া প্রমাণ থেকে বোঝা যায় বাবাই ধর্ষণ করেছেন। একই সঙ্গে মেয়েটি তার বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে এই কথা অস্বীকার করেছে। মেয়েটি বলেছে যে ধর্ষণটি অন্য কেউ করেছে এবং পুলিশ সেই লোকটিকে ধরছে না উল্টে তার বাবাকে ধরছে।
বিষয়টি গ্রিস দেশের। ‘ডেইলি মেইল’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ তরুণী তার ৬২ বছর বয়সী বাবার সঙ্গে ছুটি কাটাতে গ্রিসে গিয়েছিলেন। তারা ক্রিট দ্বীপে অবস্থান করছিলেন। গত সপ্তাহে মেয়েটি গ্রিক পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে।ঘটনার দুদিন পর মেয়ের বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে বাবাকে তার মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে মারতে দেখা গেছে।
পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছে মেয়েটি:
কিন্তু পুলিশের এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন মেয়েটি। তিনি বলেন, পুলিশ তার দায়ের করা অভিযোগ ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি বলেছে যে তার বাবা নির্দোষ এবং তিনি তার সাথে কোন অন্যায় করেননি। ডেইলি মেইলকে মেয়েটি বলেছে- ‘ একশো শতাংশ নিশ্চিত আমার বাবা আমাকে ধর্ষণ করেননি। অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আমার ওপর হামলার সময় তিনি হোটেলে কেমন ছিলেন। ডিএনএ পরীক্ষাও তাকে নির্দোষ প্রমাণ করবে। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পিতা। তিনি এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না।
পুলিশের কাছে তার অভিযোগে মেয়েটি বলেছে যে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ৯ই জুন তার বাবার সাথে মদ পান করে এবং তারপর তাকে বারের কাছে একটি সরু গলিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে বাবাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে বাবা বলেন- নিজের মেয়ের সঙ্গে এমন কাজ কখনো করতে পারব না। তবে, গ্রীক আইন অনুসারে, এই মামলার বিচার ১৮ মাস পর্যন্ত চলতে পারে।