পুরনো বছর গিয়ে নতুন বছর আসতেই আঘাত হেনেছে করোনা তৃতীয় ঢেউ। সব সময় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে যেখানে সেই দিঘার সমুদ্র এখন বাধা নিষেধের বেড়াজালে নির্জন। চারপাশে নেই কোন পর্যটকদের ভিড়। নেই কোনও কোলাহলও। করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমনের কারণে দীঘা এখন পুরো ফাঁকা। কিন্তু সেই নির্জনতার সুযোগে একটি ঘটনা ঘটে গেল দীঘার সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্রে আত্মহত্যা করতে এসে পুলিশে হাতে ধরা পড়লেন মা ও মেয়ে। সুযোগ বুঝে মা পালিয়ে গেলেও পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যায় মেয়ে। পরে উদ্ধার করে তাদের দিঘা থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ জেরা করে জানতে পেরেছে, পারিবারিক ঝামেলা অশান্তির কারণেই ফাঁকা দীঘার সমুদ্রে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে সৈকতে পর্যটক না থাকলেও উপস্থিত ছিল নুলিয়া আর সৈকত পর্যবেক্ষণকারী পুলিশ আর তাদেরই তৎপরতায় আটকানো গেল তাঁদের। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, মেয়েটির নাম পুষ্প দাস অধিকারী। বয়স ৩৮ বছর। মহিলার বিয়ে হয়েছিল দেপালে। আর মহিলার বাপের বাড়ি এগরা থানার কসবাগোলা গ্রামে। কিন্তু বিয়ে হওয়া সত্বেও কোনো ঝামেলার কারণে গত আট বছর ধরে এই পুষ্প দেবী শ্বশুর বাড়িতে থাকেন না। মা ও এক ভাইয়ের সাথে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। অন্যান্য ভাইরা প্রত্যেকেই কাজের সুত্রে অন্যত্র থাকেন। জানা গিয়েছে, বাপের বাড়িতেও খুব একটা শান্তিতে ছিলেন না ওই মহিলা। দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক ঝামেলা অশান্তি চলছিল তাঁদের।
এরপর সেই সকল অশান্তির কারণে তিনি এবং তাঁর মা ঠিক করেন মুক্তি পেতে উভয়ে দিঘার সমুদ্রে আত্মহত্যা করবেন। সেই পরিকল্পনা মতই দীঘার সৈকতে চলেও এসেছিলেন দুজনে। বিধি নিষেধের কারণে পর্যটক শূন্য সমুদ্র সৈকত। তারপর হচ্ছিল হালকা বৃষ্টি। ফলত, মা ও মেয়ে ভেবেছিলেন অনায়াসেই তারা নিজেদের উদ্দেশ্যে সফল হবেন।
সূত্রের খবর, পুষ্পদেবীর আঠেরো বছর বয়সী একটি মেয়েও আছে। তার স্বামী একটি বিস্কুট কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে অবশ্য তার স্বামী কী করেন তা জানতে পারা যায়নি। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলা ঝামেলা অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই এই পথ বেছে নিতে চলেছিলেন মা ও মেয়ে। কিন্তু তাঁদের আটকানো গেছে আপাতত।