উত্তর প্রদেশের বাগপত জেলার থেকে সামনে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর। যেখানে পুলিশের ভয়ে, গ্রামের এক মহিলা তার দুই মেয়ের সাথে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষ পানের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে সমেত মা কে অবিলম্বে মিরাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখান থেকে তিনজনের গুরুতর অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ঘটনাটি থানা ছাপরাউলী অঞ্চলের বাছোড় এলাকার। কি হয়েছিল? সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে ওই গ্রামের এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। হঠাৎই একদিন যুবক তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে বাড়ির মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটির পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ অনুসন্ধানে নেমে যুবকের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছালে পুলিশ দেখে আতঙ্কিত হয়ে দুই মেয়ে সহ তার মা বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে ফেলেন।
এ ঘটনার পর পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে মা ও দুই মেয়েকে নিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী সিএইচসিতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিনজনের অবস্থাই এতটাই সঙ্কটজনক ছিল যে তাদের মিরাটের হসপিটালে রেফার করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনজনেরই চিকিৎসা চলছে।
পলাতক মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করেছিল:
বাগপত এসপি নীরজ কুমার বলেছেন যে গত ৩রা মে, ২০২২-এ, বাছোদ গ্রামের এক ব্যক্তি থানায় এসে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, যুবক তার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে নিয়ে গেছে। অভিযোগের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং যুবকের বাড়িতেও আসে স্বাভাবিক ভাবেই। আসলে পুলিশ যুবককে খুঁজছিল। পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি চলতেই দুই মেয়েসহ যুবকের মা বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে ফেলেন। বর্তমানে তিনজনই চিকিৎসাধীন। হতবাক পুলিশ কর্মীরা তৎক্ষণাৎ তাদের হসপিটালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের চিকিৎসা চলছে। একই সঙ্গে ওই যুবকের খোঁজেও তল্লাশি জারি রেখেছে।