প্রেমিকাকে বিয়ে করার দাবিতে ধরনায় বসলেন নাছোড়বান্দা প্রেমিক। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে থাকলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। তারপর রাতেই অদৃষ্ট বদল হয় যুবকের। জানুন পুরো ঘটনাটা।
সোমবার সকাল বেলা এক অদ্ভুত দৃশ্যের সাক্ষী থাকেন ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওই ওয়ার্ডেরই বসবাসকারী এক ব্যক্তি ঠান্ডুর বাড়ির সামনে তাঁর মেয়ে লক্ষ্মীর ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকতে দেখা যায় সঞ্জিত রায় নামের এক যুবক কে। সূত্রে অনুযায়ী ওই যুবকের নাম সঞ্জিত রায় যিনি পার্শ্ববর্তী বাঘোরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তুমুল বৃষ্টি হলেও এক চুল নড়ানো যায়নি তাঁকে। যুবক জানায় গত প্রায় ছয় বছর ধরে লক্ষ্মী এবং তার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। তাদের মধ্যে যোগাযোগ কথাবার্তা সবই নিয়মিত। অথচ তাও লক্ষীর পরিবার লক্ষ্মীর অন্যত্র বিয়ে দিতে চায়। সঞ্জিত রায়ের পরিবার তাদের প্রেম মেনে নিলেও লক্ষ্মীর পরিবার এই সম্পর্ক কিছুতেই মানতে নারাজ। সঞ্জিতের বাড়ি থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হলে সেটাও ফিরিয়ে দিয়েছে লক্ষ্মীর বাবা ঠান্ডু। এরপরই লক্ষ্মী নিজেই সঞ্জিতকে বলে তাকে এসে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে। এরপরই ধর্নায় বসে যুবক।
সারাদিন সেখানে ঠায় বসে থাকার খবর চাউর হতে থাকে সর্বত্র। খবর পৌঁছায় কাউন্সিলরের কানেও। তিনি এসে বৈঠক বসান সমাধানের জন্য। সেখানে লক্ষ্মীর বাবা জানিয়ে দেন ধর্নায় বসুক আর যাই করুক মেয়ে যদি এই ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে তিনি কোনো সম্পর্ক রাখবেন না মেয়ের সাথে। কিন্তু বিকেল আসতেই মত বদলাতে থাকে লক্ষ্মীর বাবা ঠান্ডু। পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে বোঝাতে থাকলে অবশেষে তিনি মানেন। এরপর গত রাতেই বিয়ে দেওয়া স্থির হয় লক্ষী এবং সঞ্জিতের। ওই অল্প সময়ে সবার উদ্যোগে বিয়ের জোগাড় হয়। অবশেষে মালাবদল করে বিয়ে হয় সনজিৎ আর লক্ষ্মীর।