এক দেশ থেকে অন্য দেশে সোনা পাচারের পরিকল্পনা কে সফল করতে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নেয় পাচারকারীরা (Smugglers)। কখনও বা অন্তর্বাসের ভিতর আবার কখনও শরীরের ভেতর লুকিয়েও সোনা পাচারের করার চেষ্টার কথা শোনা যায়। পাচারকারীদের সোনা পাচার করার জন্য নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন করছে। সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে সোনা পাচারের (Gold Smuggling) ধরণ৷ পাচারকারী বা স্মাগলাররা পুলিশকে বোকা বানানোর চেষ্টায় কোনো খামতি রাখছেন না৷ অভিনব স্মাগলিং রুখতে গিয়ে কাস্টমস, পুলিশ, থেকে এয়ারপোর্টের কর্মীরা সকলের নাজেহাল অবস্থা হয়৷ তবে এত কিছু করেও অনেক সময় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এমনই এক নতুন ধরণের স্মাগলিংয়ের খবর পাওয়া গেল৷ এক অভিনব পদ্ধতিতে সোনা পাচারের চেষ্টা করল এক যুবক। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। কিন্তু তার স্মাগলিংয় করার বুদ্ধিতে হতবাক দুঁদে নিরাপত্তারক্ষীরা পর্যন্ত।সকলেই স্তম্ভিত৷
ঘটনাটি কেরলের কন্নুর এয়ারপোর্টের (Kannur Airport)। সোমবার সেই এয়ারপোর্টে একজন চোরা পাচারকারীর কাছ থেকে মোট ১৪ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়েছে৷ কিন্তু এত সোনা কোনও গয়না বা বিস্কুটের আকারে পাচার করা হচ্ছিল না৷ সোনা গলিয়ে তার পেস্ট বানিয়ে তা জিন্সের ওপর আটকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ স্মাগলাররা ভেবেছিল যাতে এয়ারপোর্টে উপস্থিত পুলিশের মনে হয় যে এটা জিনসের ওপর নতুন কোনও ধরনের ডিজাইন৷ আর সেটা ভেবেই পার হয়ে যাবে কাস্টমস এর চক্কর৷ কিন্তু দুষ্কৃতীকারীদের এই অভিনব কৌশলও সফল হয়নি, তাঁকে এয়ারপোর্টে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়৷
প্রথমে ওই জিন্স দেখে প্রাথমিক সন্দেহের বশে ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে পুরোদস্তুর তল্লাশিও করা হয়। প্রথম ধাপের খানা তল্লাশিতে সে ধরা পড়ে না কাস্টমসের হাতে। তবে অভিজ্ঞ কাস্টমস – আধিকারিকের যুবকের পরনের জিনস দেখেই সন্দেহ হয়। এরপরে নিশ্চিত করতে পরীক্ষা করে দেখা হয় সেই জিনস। আর তাতেই মিলল সোনার রহস্য। কারণ, ওই যুবক জিনসের প্যান্টের দু’টি কাপড়ের স্তরের মাঝে সোনা গলিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাঝখানে ঢেলে দেয়। তারপরই সেটি পরে নেয়। ভেবেছিল এই নতুন কায়দা রপ্ত করেই সোনা স্মাগলিং খুব সহজে করে নেবে সে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হবে না। পরিবর্তে ধরা পড়ে শ্রীঘরে সে। মোট ৩০২ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
