উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলায় বিয়ের অজুহাতে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সূত্র অনুযায়ী, শামলি জেলার একটি গ্রামে বসবাসকারী এক যুবকের সঙ্গে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, ১২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে নিয়ে হোটেলে যান ওই যুবক। সেখানে বিয়ের কথা বলে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। ওই তরুণীর ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযুক্ত যুবকের সাথে পরিচিত হন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কের পর অভিযুক্তরা তাকে বিয়ে করার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এরপরই নির্যাতিতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে দেওয়া যাক, নয়ডার সেক্টর-২৬-এর একটি গেস্ট হাউসে বিয়ের অজুহাত দিয়ে কানপুরের একটি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা করা এক মহিলা অধ্যাপককে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এর পর অভিযুক্ত আমেরিকা চলে যান। তিনি নির্যাতিতাকে হুমকি দেন যে, সে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলে তার অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করে দেবে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি নয়ডায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। নির্যাতিতা কানপুরের একটি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করেন। দুজনেই আগে থেকে পরিচিত ছিলেন। এই কারণে, অভিযুক্তরা বিয়ের অজুহাতে নয়ডার একটি গেস্ট হাউসে নির্যাতিতার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করত। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শুভম ভার্মা রাজস্থানের বাসিন্দা।
নির্যাতিতাও রাজস্থানের বাসিন্দা। দুজনেই কলেজে একসাথে পড়ত। তাদের মধ্যে প্রেম ছিল। প্রেমের সম্পর্ক এগোনোর সাথে সাথে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসময় ওই যুবক তার মোবাইল ফোন থেকে ওই নারী অধ্যাপকের একটি অশ্লীল ভিডিও ক্লিপও তোলেন। এরপর তিনি আমেরিকায় চলে যান। ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং প্রতারণার শিকার বানান।