কয়েক জন তাঁর পিছু নেয়। দিনভর তাড়া করে। ভয় দেখায়। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। বাড়ি হোক বা বাইরে, কোথাওই ধাওয়া করা ছাড়ে না। এমনকী চাষের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েও রেহাই নেই। সেখানেও পৌঁছে যায় তারা। জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আর পারছেন না। অগত্যা তাই ওদের বিরুদ্ধে থানায় গেলেন যুবক। জানালেন অভিযোগ। ওরা কারা?
ওরা হল ভূত। গুজরাটের ভদোদরার ঘটনা। মঙ্গলবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ভরসঙ্গভাই বরিয়ালসো। তাঁর বয়স ৩৫। অভিযোগ শুনে মাথায় হাত পুলিশের। তবু নিয়ম মেনে তদন্তে নামে পুলিশ। তার পরই উঠে আসে সত্যিটা। ভরসঙ্গভাইকে জেরা শুরু করে। তখনই তাঁর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তখনই স্পষ্ট হয় ছবিটা। পরিবারের সদস্যরা জানতেনই না, যে ভরসঙ্গভাই কখন, কীভাবে থানায় পৌঁছে গিয়েছেন। এমন অদ্ভুত অভিযোগের কথাও জানতেন না তাঁরা। এমন ঘটনা যে তাঁর সঙ্গে ঘটছে তা নাকি বাড়িতেও জানাননি কখনও। এরপর তাঁরা বলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ ভরসঙ্গভাই বরিয়ালসো। তাঁর চিকিৎসা চলছে। গত ১০ দিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে ওষুধ খাওয়ানো যায়নি। ফলে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ভরসঙ্গভাইকে মনোবিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে আবার। ওষুধ খেতেও রাজি হয়েছেন যুবক।