শপিং মলে মৃদু সঙ্গীত বাজতে দেখা যায় সর্বত্রই। সুরের মূর্ছনা যাতে সময় ভালো কাটায় সেটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারাডাইস ফ্রুট মার্কেটে এক শপিং মলে এই গান বাজানো নিয়েই ঘটেছে এক ঘটনা। দুঃখের গান কেন বাজানো হচ্ছে শপিং মলে এই ঘিরে রেগে কাই হলেন এক মহিলা। শুধু তাই নয় গোটা মল জুড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন। শপিং মলে কর্মরত স্টাফদের হুমকিও দেন। শেষ মেষ মহিলাকে রুখতে পুলিশ ডাকতে হয় মলের ম্যানেজারকে।
গান শুনতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ মেলা ভার। প্রত্যেক মানুষের গানের পছন্দ ভিন্ন ভিন্ন। কারও রোমান্টিক গান পছন্দ তো কারও ডিস্কো, তো কারও আবার পছন্দ পপ সং। এমনকি দুঃখের গানও যে দারুন জনপ্রিয়তা ছোঁয় সেই কথা সকলেই মানবেন। তবে আমেরিকা নিবাসী ওই মহিলার যে দুঃখের গান বাজানো এত আপত্তি থাকতে পারে তা জানা ছিল না বা জানার সাধ্য ছিল না শপিং মলের কর্মচারীদের। এমনিতে মহিলা স্বাভাবিকই ছিলেন। নির্দিষ্ট একটি দুঃখের মেলোডি গান বাজতেই ভয়ানক ভাবে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। স্টাফরা এসে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সেই মহিলা বোঝেন না উল্টে আরো বেশি রেগে যায়।
মহিলা রেগে শপিং মলের স্টাফেদের বলেন, তৎক্ষণাৎ দুঃখের গান বন্ধ করে অন্য গান চালাতে হবে। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা হয়, এত তাড়াতাড়ি গানের প্লে-লিস্ট পালটানো সম্ভব হবে না। এতে আরও রেগে গিয়ে মহিলা শপিং মলের কর্মীদের রীতিমত উল্টো পাল্টা গালিগালাজ করতে থাকেন। বাধ্য হয়ে শপিং মল কর্তিপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ পৌঁছে মহিলাকে ঠান্ডা করতে পারেনি। বরং তাঁর রাগ উত্তরোত্তর বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছে যায়। পুলিশ অফিসার তাঁকে শালীন আচরণ করতে বলতেই তাঁদের উপরে চোটপাট করতে থাকেন মহিলা। অফিসার তাঁকে মলে থেকেই বিবাদটি মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন। তার জেরে মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। তাঁকে শপিং মল থেকে বার করে আনারও চেষ্টা চালানো হয়। কোনো কিছুতেই বাগে আনতে না পেরে অবশেষে মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলে গিয়েও সেই মহিলার ব্যবহারে কোনও অদল বদল আসেনি। জামিনে ছাড়া পেয়ে পুলিশ স্টেশনে ফের তাণ্ডব শুরু করেন তিনি। সেখানেও ফের অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকেন। আবারও তাই গ্রেপ্তার করা হয় মহিলাকে। দ্বিতীয়বার হুঁশিয়ারি দিয়ে ছাড়া হয় মহিলাকে। মোটা অংকের জামিন ধার্য করা হয় বলে খবর।