আজকালকার অনেকেই মনের মানুষের সন্ধানে বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপের (Dating App) শরণাপন্ন হন। নিজের প্রোফাইল তৈরি করে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হন। চ্যাট আদান প্রদানের মাধ্যমে হয় মনের ভাব বিনিময়। কিন্তু ইন্টারনেটের আরো নানা প্ল্যাটফর্মের মত ডেটিং অ্যাপেও এখন প্রতারকদের ছড়াছড়ি। কিছুদিন আগে ওড়িশার থেকে সামনে এসেছিল এমনই এক ঘটনা। যেখানে দেখা গেছিল এক অপরাধী ডেটিং অ্যাপ ও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে ফাঁদ পেতে একশোর অধিক মহিলাকে প্রতারিত করেছিল। এবার মুম্বইতে সেই ডেটিং অ্যাপ কে হাতিয়ার করেই এরকমই এক চক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। জেজে মার্গ পুলিশ রবিবারই এক প্রতারণা গ্যাংয়ের মূল পান্ডা কে আটক করেছে। সমকামীদের জন্য তৈরি এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ওই ব্যক্তি। এক হাসাপাতালের সিনিয়র চিকিৎসককে নিজেদের শিকার বানানোর পরই বিষয়টি খোলসা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ওই প্রতারক যুবক সমকামী ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে। এরপরই তাদের বন্ধুত্ব হয়। চ্যাটে কথাবার্তা হওয়ার কদিন পর চিকিৎসকের সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করে অভিযুক্ত ওই প্রতারক। সেই মত একটি পূর্ব পরিকল্পিত স্থানে দেখাও হয় দুজনের। কিন্তু দেখা করতে পৌঁছে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হন চিকিৎসক। দেখা করতে পৌঁছলেই চিকিৎসকের উপর চড়াও হন প্রতারক। তাকে শারীরিক হেনস্থা থেকে তার সাথে থাকা সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয়।
কোনোমতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছিলো চিকিৎসক। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েই সরাসরি পুলিশের কাছে পৌছায় ওই চিকিৎসক। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত বছর ২১ এর যুবক নাতিক নওশাদ শেখ। মুম্বরার বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত।
পুলিশের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিলো ২৮ এপিল। প্রথমে নওশাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো ওই চিকিৎসক তারপর তাকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নওশাদের সাথে তাঁর আরও ৩ সঙ্গী ছিলেন। সেখানে তারা ওই চিকিৎসকের ফোন ও টাকার ব্যাগ কেড়ে নিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনার মুহূর্তে সিসিটিভি ফুটেজের হদিশ মেলে এবং নওশাদের মোবাইল নম্বর চিকিৎসকের কাছ থেকেও পাওয়া যায়। নওশাদকে সেই সব সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রতারণার লক্ষ্যেই অভিযুক্ত নওশাদ ওই ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। অভিযুক্তকে পুলিশ জেরা করছে এবং জানার চেষ্টা চলছে যে আরও কেউ ওই যুবকের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে কি না,তার তদন্ত চলছে।