রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় ঘটেছে এক অনন্য প্রেমের ঘটনা। এখানে পাঁচ সন্তানের বাবা-মা তাদের নিজের সন্তানকে ছেড়ে আবারও বিয়ে করেছেন। এই পদক্ষেপের কারণে মোট ১০ জন শিশু তাদের পিতামাতার ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জানুন পুরো বিষয়টা
রাজস্থানে আলওয়ার এক নারী তার স্বামী ও পাঁচ সন্তানকে ছেড়ে তার আরেক প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করেছেন। ওই নারীর প্রেমিকেরও পাঁচটি সন্তান রয়েছে। এই বিয়ের কারনে তাই ১০ জন সন্তান নিজের মা অথবা বাবার থেকে দূরে হয়ে গেছে। মহিলা তার সন্তানদের শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছেন। একই সঙ্গে প্রেমিক ও তার প্রথম স্ত্রীর পাঁচ সন্তানকে তাদের দিদা,দাদু রেখেছেন। ছেলের এমন পদক্ষেপে হতাশ হয়ে তাকে পরিবার থেকে উচ্ছেদ করেছেন প্রেমিক যুবকের বাবা।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি রাজস্থানের আলওয়ার জেলার সদর থানা এলাকায়। হরিয়ানার তাওয়াডুর বাসিন্দা নুরজাহান ২০০৭ সালে আলওয়ার জেলার সদর থানা এলাকার জাজোর কা বাসের বাসিন্দা তায়ব খানের সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ের ১৫ বছর পর নূরজাহান তার ৫ সন্তান রেখে আলওয়ারের তুলেদা গ্রামের বাসিন্দা তার প্রেমিক মৌসুম খানকে (৩০) বিয়ে করেন। এদিকে মৌসুম খানও বিবাহিত।তারও ৫ সন্তান রয়েছে।
নূরজাহান তার সন্তানদের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যদের কাছে রেখে তার প্রেমিকের সাথে বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিশুরা কাঁদতে থাকে। তারা মায়ের পিছু ছুটতে থাকে। কিন্তু পুলিশ ও শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েন। তারা বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠিয়েছিলেন। অন্যদিকে মৌসম তার এই মহিলাকে বিয়ে করার পর তার বাবা-মা তাদের নাতি-নাতনি ও আগের পুত্রবধূকে নিজের সঙ্গে রেখেছেন। মৌসম এর পিতা সদর থানায় রিপোর্ট দিয়ে মৌসমকে পরিবার থেকে উচ্ছেদ করেছেন।
প্রেমিককে পরিবার থেকে উচ্ছেদ করেছে তার বাবা:
মৌসমের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তান এর প্রতিই এমন আচরণ থাকলে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কী হবে। এ কারণে আমরা তাকে বাড়ি-ঘর ও সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে পরিত্যাগ করেছি। আলওয়ারের সদর থানার এএসআই ব্রহ্ম প্রকাশ জানিয়েছেন, নূরজাহান ও মৌসম খান বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুর হাইকোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে আলওয়ারে এসেছিলেন। নূরজাহান জানান, তিন মাস আগে জয়পুরে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেন। এখন তিনি চাইল্ড প্রোটেকশন কমিটির কাছে ৪টি শিশুকে হস্তান্তর করতে চান। একটি শিশু হরিয়ানায় রয়েছে। তিনি সেখানে কাজ করেন।
সদর থানা ও শিশু কল্যাণ কমিটি নূরজাহানকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে। এই বিষয়ে, প্রথমে তিনি বাচ্চাদের সাথে রাখতে রাজি হন, তারপরে তিনি ফিরে যান। নূরজাহান তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তিনি ট্রাক চালাতেন। বাসায় এসে তিনি তার বা সন্তানদের যত্ন নেননি। সে প্রতিদিন মদ খায়। এমন অবস্থায় অনেক বছর তাকে সহ্য করেছেন। কিন্তু এখন আর না।