বছর দশেকের কাজল। সে অনেক ইচ্ছা নিয়ে যোগদান করেছিল ইন্দিরা ম্যারাথনে। বাচ্চা মেয়ে কাজল সেই ম্যারাথন শেষও করেছিল। সে ১৪ তম স্থান অধিকার করেছিলেন ইন্দিরা ম্যারাথনে বলে দাবি করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে স্বীকৃতি দেয়নি ওই ইন্দিরা ম্যারাথনের আয়োজক ও কর্তৃপক্ষ। আর এই অভিযোগ জানাতেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবে বছর দশেকের কাজল। কিন্তু পৌঁছাবে কি করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে! আর তার এই উপায় তাকে বিখ্যাত করে তুলল। এই জেদি বাচ্চা মেয়েটি ট্রেন, বাস, চকচকে প্রাইভেট গাড়ি কোনও কিছুতেই আসবে না। সে নিজে দৌড়ে পৌঁছাবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর সেখানেই অভিযোগ জানাবে।
বছর দশেকের হলেও তার কিন্তু মনের জোর অনেকটাই বেশি। আর সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রীর যোগীর কাছে ২১০ কিলোমিটার দৌড়ে পৌঁছবে। রবিবার কাজল নিষাদ প্রয়াগরাজ থেকে দৌড় শুরু করেছে। তার গন্থব্যস্থল লখনউ। রাস্তাটাও অনেকখানি পথ। মোট দূরত্ব প্রায় ২১০ কিলোমিটার। কিন্তু কাজল দমবার পাত্র নয়। যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে লখনউ পৌঁছে দেখা করবে সে। যোগী আদিত্যনাথের দরবার হাজির হবে ছোট্ট কাজল ইন্দিরা ম্যারাথনে অংশ নিয়েও কিছু না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে। তার প্রশিক্ষক রজনীকান্ত তার এই সফরে সঙ্গ দেবেন। কাজল লখনউতে সাতদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। এটাই ঠিক হয়েছে যে , কাজল প্রতিদিন ৩৫-৪০ কিলোমিটার দৌড়োবে। কুণ্ডায় রাজা ভাইয়ার বাসভবনে কাজল বিশ্রাম নেবে।
কাজল নিশাদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিংয়ের এলাকা মান্দায় অবস্থিত ললিতপুরের বাসিন্দা। কাজলরা তিন বোন আর তারমধ্যে কাজল হল সবচেয়ে ছোটো। রেলওয়ের একজন পয়েন্টসম্যান কাজলের বাবা নীরজ নিশাদ। গত বছর ইন্দিরা ম্যারাথনে কাজল ব্যক্তিগত পর্যায়ে অংশ নিয়ে দৌড় শেষ করেছিল। সে ১৪ তম হয়েছিল সেই দৌড় শেষ করে বলে জানিয়েছে। কিন্তু তাকে কোনও সম্মান দেয়নি এই ম্যারাথনের কর্তৃপক্ষ। এবং কোনও কদর হয়নি সে যে স্কুলে পড়ে সেই স্কুলেরও। তাই কাজল মুখ্যমন্ত্রীর মুখাপেক্ষী। প্রসঙ্গত, ১৮ বছরের কম বয়সী দৌড়বিদরা ম্যারাথনে অংশ নিতে পারে না এমনটাই নিয়ম আছে।