প্রতি বছর ঘরে ঘরে অনেক আয়োজন সমেত আমরা স্বর্গের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করি। কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা বোধহয় এখনও পাল্টায়নি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এই নৃশংস কাজ করেছেন স্বয়ং সদ্যোজাত শিশু কন্যার মা। সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল তার মায়ের (Mother) বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র কন্যাসন্তান জন্মানোয় অখুশি হওয়ায় এই কাজ করে ওই মহিলা। ঘটনায় হতবাক সকলে।
লক্ষ্মীপুজোর সকালবেলা একবালপুর থানায় সেখানকার একটি নার্সিংহোম থেকে একটি ফোন যায়। সেই ফোনে জানানো হয় মাত্র একদিন বয়সের সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে প্রাণহীন অবস্থায় দেখা গেছে ডুয়েল কেবিনে। কিন্তু ওই শিশুর কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। ঘটনা জানতে পারা মাত্রই একবালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসপাতালে উপস্থিত হন। নার্সিংহোম সূত্রে খবর, ১৮ তারিখ প্রসবযন্ত্রণা সহ একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে ভরতি হন লাভলি সিং নামের এক ২১ বছর বয়সী মহিলা। তার পরের দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ সন্ধেবেলা তিনি সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো শারিরীক সমস্যাই ছিল না সদ্যোজাতর মধ্যে। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেন নার্সিংহোমের ডাক্তার চন্দ্রানী ভট্টাচার্য নিজে। নার্সিংহোমে স্ত্রী লাভলি সিংয়ের সঙ্গে একই কেবিনে ছিলেন তাঁর স্বামী অজয় সিংও।

পরদিন সকালে অজয় সিং চা আনতে কেবিনের বাইরে যায়। সেই সময় আয়া অঞ্জুবিবি কেবিনে এসে দেখেন, সদ্যোজাত কন্যাসন্তানটি প্রাণহীন অবস্থায় হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে। দেখা মাত্রই অঞ্জুবিবি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জানান। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানান শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।প্রথমটায়,এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। নার্সিংহোম থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। স্বামী অজয় সেই সময় কোথায় ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে তার স্ত্রী লাভলি যে কন্যা সন্তান হওয়ার ফলে বেশ গুমড়ে ছিলেন, সেটা জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে কন্যা সন্তানের মা লাভলী জানান কন্যা সন্তান তার পছন্দ ছিল না। তাই রাত্রি সাড়ে বারোটার সময় বালিশ চাপা দিয়ে, মাত্র একদিনের কন্যা সন্তানকে খুন করেছে সে। কিন্তু পুলিশ তার স্বামী অজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না,বলে জানায় পুলিশ।


