বাংলার খুব ব্যস্ততম স্টেশন দুটির নাম হাওড়া ও শিয়ালদহ। কিন্তু আজ যেন স্টেশন দুটি নিস্তব্ধ।বছর দুয়েক আগেও যে ব্যস্ততা ছিল আজ যেন তা নেই। তাই অনেকেই ঠিক চিনে উঠতে পারছেন না বা বিশ্বাস করতে পারছেন না এই দুটি স্টেশণের অবস্থা। এঁর কারণ হলো কোনও লোকাল ট্রেন আর নেই এই দুটি স্টেশনে। না রয়েছে মানুষের ভিড়। কিন্তু স্পেশাল ট্রেন আছে দূরপাল্লার বেশ কয়েকটা৷ সাথে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন আছে৷ তাই এবারের দূর্গা পুজোয় ধরা পড়লো এই দুই স্টেশণের এক ভিন্ন রূপ।
করোনাভাইরাস এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় যার জেরে ছেদ পড়েছে। অথচ অন্য রূপে দেখা যেত এই স্টেশন দুটিকে ফি বছর পুজোর সময়। সেখানে কোনও ব্যস্ততা আজ নেই। বরং গ্রাস করেছে নিস্তব্ধতা এই দুটি স্টেশনকে। তার মধ্যেই নাইট স্পেশাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে শিয়ালদহ শাখায়। আবার বিধাননগর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে না আজ বিকেল থেকে। তাই সবমিলিয়ে অনেকের কাছেই চেনা স্টেশন দুটি কেমন যেন অচেনা ঠেকছে।
তবে স্টেশন দুটি আগের মতোই সেজে উঠেছে আলোকসজ্জায়। আলোকমালায় ঝলমল করছে হাওড়া–শিয়ালদহ দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে। কিন্তু এটুকুই যেন প্রাপ্তি বিরাজমান নিস্তব্ধতার মধ্যে। দেখতে অত্যন্ত সুন্দর হাওড়া স্টেশন বিল্ডিং। সেখানে আরও সুন্দর লাগছে আলো দিয়ে সাজানো হওয়ায়। এবার স্টেশনটি তিন রঙা আলোয় সাজানো হয়েছে। তাতেই মা দুর্গার মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
স্টেশন চত্বরও ঢাক আর কাঁসরের মেলবন্ধনে সেজে উঠেছে। যদিও প্রতিবার ফুড প্লাজা সাজানো হয়। সেই ছবি এ বার আর ধরা পড়েনি। বাহারি সবুজ আলোর মালায়। শিয়ালদহ স্টেশন সাজানো হয়েছে, সাথে সামনের নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশনও আলোর মালায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ভেতরের ভোলবদল হয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনের। যদিও যাত্রী আগের মতো সেভাবে না থাকায় গমগম করা ব্যাপারটা এ বার নেই৷ তবে যাঁরা আসছেন দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে, তাঁরাও বলছেন মন খারাপ লাগছে বটে, তবে পুজোর মুড তৈরি করে দেয় স্টেশনের বাহারি আলো।
এই বিষয়ে পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এবারও হাওড়া স্টেশনকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বরাবরের মতো । আসানসোল ও কলকাতা স্টেশন একইসঙ্গে সেজে উঠেছে। ব্যাপক চাহিদা আছে আসানসোল স্টেশনের ‘ট্রেন অন হুইলস’ রেস্তরাঁর। সাজিয়ে তোলা হয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনকেও। হাওড়া–শিয়ালদহ করোনাভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে উঠে ছন্দে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।