মাদক কাণ্ডে ধৃত বলিউডের বাদশা পুত্র আরিয়ান খান কে আরো বেশ কিছু দিন জেলেই কাটাতে হবে। এরমধ্যেই এনসিবি কর্তারা তাকে নিয়ে আর্থার রোড কারাগারে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও তার শুনানি চলছিল দূর্গ আদালতে। সবাই আশায় ছিল তার জামিন পেয়ে যাওয়ার। অবশ্য সেদিনই আরিয়ান খানের জামিনের আর্জি খারিজ করা হয়। এই একই মামলায় জড়িত গ্রেফতার করা বাকি ৫ জনের সাথে আরিয়ান কে মুম্বাইয়ের এক হাই প্রোফাইল জেলের ১নম্বর বারাকে রাখা হয়েছে। কিভাবে কাটছে শাহরুখ পুত্রের দিন সেখানে?।
তিনি রাজকুমার মন্নতের। বলিউডের কিং খানের ছেলে, অথচ আর পাঁচজন সাধারণ কয়েদির মতোই একদম সাধারণ জীবনযাপন করতে হচ্ছে আরিয়ান খানকে আর্থার রোড জেলে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ঠিক ৬টায় ঘড়ি ধরে প্রত্যেক অভিযুক্তকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। জলখাবার সকাল সাতটায় আসে। NCB-এর হেফাজতে, আরিয়ান খান এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছিল এখন পর্যন্ত। কিন্তু আরিয়ান খানের সঙ্গে বিশেষ কোনও আচরণ হবে না জেলে যাওয়ার পর। যদি ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাদের, তাহলে অনুমতি নিতে হবে আদালতের । আদালত কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে তাদের কাউকে বাইরের কোনও খাবার সরবরাহ করা হবে না। প্রতিদিন যা রান্না হবে জেলে সকলে তাই খেতে বাধ্য , এক্কেবারে নিষিদ্ধ বাইরের খাবার। যেখানে বন্দিদের সকালে শুধুমাত্র শিরা এবং পোহা দেওয়া হয়। দুপুরের খাবার ১১ টায় দেওয়া হয়। প্রায় একই দুপুর ও রাতের মেনু। রুটি, তরকারি, ডাল এবং ভাত তালিকায় থাকবে। এখন সাধারণ পোশাকেই আরিয়ানরা থাকতে পারবেন, তাঁদের জন্য জেলের পোশাক বরাদ্দ নয়।
সন্ধ্যা ৬টা-তে রাতের খাবার দেওয়া হয় আর্থার রোড জেলে। এছাড়া জেলের ক্যান্টিন থেকে অন্য খাবার চাইলে অর্ডার দিতে পারেন আরিয়ান, সেক্ষেত্রে মানি অর্ডারের মাধ্যমে টাকা আনানো যেতে পারে। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আপাতত প্রাসাদ ‘মন্নত’ ছেড়ে হাজতে এ ভাবেই সাদামাটা দিন কাটাবেন আরিয়ান। ক্রুজের সেই পার্টিতে থাকাই শাহরুখ-পুত্রের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল।