জীবন কখন আপনাকে কোন পকারণর্যায়ে নিয়ে আসবে তা বলা মুশকিল। লখনৌতে গোমতী নগরে বসবাসকারী দুই বোন রাধা ও মান্ডবী র সাথেও একই ঘটনা ঘটেছিল। দারিদ্র্যের নাম শোনেনি এমন একটি সমৃদ্ধ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত দুই বোন আজ ভিক্ষা করে জীবন যাপন করে।
তার বাবা ডঃ এম এম মাথুর বলরামপুর হাসপাতালে সিএমও অর্থাৎ চিফ মেডিকেল অফিসার ছিলেন। নগরীর পশম অঞ্চলের গোমতী নগরের বিনয় খন্ডে বিলাসবহুল বাড়ি এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা ছিল তাদের। হঠাৎ একটি দু’র্ভা’গ্য’জ’ন’ক দু’র্ঘ’ট’না’য় তাদের মা এবং বাবা উভয় প্রা’ণ হা’রা’ন।
একই সাথে এত বড় ধাক্কা তারা নিতে পারেননি। তার ফলে তাদের মানসিক অবস্থার এমন অবনতি ঘটে যে আজ অব্দি তার নিরাময় সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের বিয়েও হয় নি। আজ তাদের বয়স প্রায় 60 থেকে 65 বছর। বড় ভাই এন মাথুর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেন এবং চাকরির সন্ধান করতে লাগলেন কিন্তু কোন চাকরি খুঁজে পাননি।
অবশেষে ভিক্ষা করে বাঁচতে বাধ্য হন তিনি। ভা’ই’য়ে’র মৃ’ত্যু’র পরেও উভয় বোনের কোন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। তাদের আত্মীয় স্বজনেরা ও তাদের সম্পর্কে কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। আশেপাশের কিছু লোক জানায় যে ভা’ই’য়ে’র মৃ’ত্যু’র পর তাদের দেখাশোনা করার মতন বা ভাইয়ের শেষকৃত্য করার মতন কেউ ছিল না তাই মৃ’ত’দে’হ দুদিন সেভাবেই পড়ে থাকে।
তারপরে প্রতিবেশীরা তার শেষকৃত্য করে। এই সুন্দর বাড়িটিও বছরের পর বছর পরে থাকতে থাকতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘর এবং ভাঙ্গা জিনিস গুলি তাদের পুরনো দিনের গল্প বহন করে। কিছু সামাজিক কর্মী এবং আশেপাশের লোকেরা তাদের কিছু খাবার ও জল দিয়ে সাহায্য করে যাতে তারা বাঁচতে পারে। এভাবেই বেঁচে আছে রাধা এবং মান্ডবী।