Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে সেই সময় বাড়িতে নিজেদের পর্ন ছবি বানিয়ে ৫ কোটি টাকা আয় করলেন বাবা-মা!

উপার্জনের অন্য এক উপায় বেছেছেন এই দম্পতি। রীতিমত দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে দাম্পত্য তাদের। সংসারের খরচ তো নেহাত কম নয়। তাই এই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন তারা। ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে সেই অবসর সময়ে দম্পতি বাড়িতেই পর্নোগ্রাফির ভিডিয়ো শ্যুট করতেন। এই ভিডিওতে অভিনয় করতেন তারা নিজেরাই। গত কয়েক মাস ধরে নিজেদের পর্ন ছবির সেই ভিডিয়ো বানিয়ে আর বিক্রি করে তাঁরা আয় করেছেন প্রায় ৫ লক্ষ পাউন্ড। যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সমান।

ইংল্যান্ডের সাউথ এন্ড অন সি-র বাসিন্দা ওই স্বামী, স্ত্রীর নাম মাইক আর জেস মিলার। তারা জানিয়েছেন, কিছুদিন, মাত্র কয়েক মাস আগে পর্যন্তও এমন ভিডিও তৈরীর কথা তাঁরা ভাবেন নি। তখন তারা অন্য পেশায় ছিলেন। বত্রিশ বছর বয়সী জেস একজন মেক আপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু সেই কাজ কোনো নিয়মিত কাজ ছিল না। বিভিন্ন ইভেন্টে কনট্র্যাক্ট ভিত্তিক সহকারী হিসেবে কাজ করতেন ৩২ বছরের মাইক। এই ভাবে কাজ করে খুব বেশি হলে প্রতি মাসে উপার্জন হত ২ হাজার পাউন্ড। আর এখন এক্স রেটেড অ্যাডাল্ট ভিডিয়ো বানিয়ে জেস আর মাইক প্রতি মাসে উপার্জন করেন না হলেও ৩০ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় টাকায় হিসাব করলে যার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। গত কয়েক মাসে পাঁচ লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি টাকা ইনকাম হয়েছে তাঁদের। যা দিয়ে ওই দম্পতি নিজেদের জীবনের নানা চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন যেমন বর্তমানে তারা একটি মার্সিডিজ এবং একটি ফিয়াট গাড়ির মালিক। মেরামত করে একেবারে নতুন রূপ দিয়েছেন নিজেদের বাড়িটিকেও।

তবে নীল ছবির ভিডিও বানিয়ে টাকা আসলেও ইদানিং অন্য একটি বিষয় ভাবাচ্ছে তাঁদের। ওই দম্পতি দেখেছেন, উপার্জনের জন্যে তারা যে উপায় বেছে নিয়েছিলেন, সেই উপায়কে বাঁকা চোখে দেখছেন স্কুলের অন্য ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়েরা। এমনকি স্কুল থেকে তারা যখন নিজেদের সন্তানদের বাড়িতে আনতে যান তখন তাদের ঘিরে নানা চাপা গুঞ্জনও কানে আসছে দু’জনের।

কিছুদিন আগে ছেলে মেয়েকে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে গিয়ে অদ্ভুত এক এক বিষয় খেয়াল করেন তাঁরা। জেস বলেন,তিনি স্কুলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই লক্ষ করেন সেখানকার সকলে নিজেদের ভেতরের কথা বা কাজ থামিয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে আছেন। সকলের এহেন তাকিয়ে থাকার ফলে বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলেন জেস এবং মাইক। তারা প্রথমটায় বিষয়টাকে পাত্তা দেননি। পরে স্কুলে গেলে তারা আবারও একই অভিজ্ঞতার সন্মুখীন হয়েছে। এমনকি কোনও কোনও পড়ুয়ার মা জেসকে একান্তে ডেকে জিজ্ঞাসাও করেছেন তাঁদের এই পেশা, এবং এই ভিডিও বানানোর সময় তাদের কেমন লাগে, কি অনুভূতি হয় ইত্যাদি কথা।

জেস অবশ্য এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। নিজেদের এবং তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই যে তাঁরা অ্যাডাল্ট পর্ন ভিডিয়ো বানাচ্ছেন, তা তাঁর সন্তানেরা জানে। যদিও এরা মাইকের সন্তান নয়, জেসের প্রথম পক্ষের স্বামীর ঔরসেই দুই সন্তান। তাদের এক জনের মাত্র ৭ বছর বয়স। অন্যজন ১১। জেস বলেন, ছোট সন্তানের এখনও বোঝার বয়স না হয়নি তার বাবা মা কি পেশায় আছেন। কিন্তু তাকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বড়টি বেশ ইতিমধ্যেই বুঝতে পারে। সরাসরি সে ইঙ্গিত বুঝে নিয়ে মা কে বলে দিয়েছে, জেস যদি এটা ঠিক মনে করেন, তবে সে-ও খুশি।

Related posts

লিভার না পেলে বাবা বাঁচবে না! লিভার দান করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ নাবালক ছেলে

News Desk

ওমিক্রণ কি অতিমারীর ‘শেষের শুরু’? শক্তি হারাচ্ছে করোনা? কি বলছে সমীক্ষা?

News Desk

আবারও উর্দ্ধমুখী দেশের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ, প্রতিবেশী দেশ চীনের সাংঘাইতে লকডাউন

News Desk