বিয়েতে ফোটোগ্রাফি বা চলতি সময়ের ওয়েডিং ফোটোগ্রাফি বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিয়ে বাড়িতে বিয়ের দিন বা তার অনেক আগে থেকেই ছবি তোলা শুরু হয়ে যায়। ছবি, ভিডিও এসবের কারণ একটাই স্মৃতি ধরে রাখা। এবার একবার ভাবুন তো, এতো আশা করে ডেকে আনা ফটোগ্রাফার যদি তার ক্যামেরায় তোলা সব ছবি এক মুহূর্তে ডিলিট করে দেয় তাহলে কেমন লাগবে ! এরকমই এক আজব ঘটনা নিয়ে সারাবিশ্বে নেট দুনিয়ায় শোরগোল।
নিজেই নিজের কীর্তি ফাঁস করেছেন ‘রেডিট’-এ ওই ফটোগ্রাফার। তবে এও জানাতে ভোলেননি সেই সঙ্গে যে তিনি আসলে পেশাদার ফটোগ্রাফারও নন সেই অর্থে। সে না হয়, হলেন না। কিন্তু এভাবে বিয়ের আসরের ছবি তুলেও কেন এই কাণ্ড ঘটালেন তিনি?
ওই ফটোগ্রাফার এর জন্য বরকেই দায়ী করেছেন। আসলে কী হয়েছিল? তিনি জানিয়েছেন, ছবি তোলার জন্য ২৫০ ডলারের চুক্তি হয়েছিল। ছবি তোলা সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছিল । সন্ধে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ছবি তোলা হবে চুক্তি ছিল। কিন্তু বিকেলে গোল বাঁধে। ফটোগ্রাফারের কথায়, ”যখন খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল বিকেল ৫টা নাগাদ আমার খুব খিদে পেয়েছে আমি ওদের জানাই । আমি না খেয়ে থাকতে পারব না। কিন্তু রাজি হয়নি ওরা। এদিকে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি। ঘরটায় ছিল না এসি। খুব গরম পড়েছিল।”
বরবেশী যুবককে তিনি এসে বলেন, একটা ২০ মিনিটের ব্রেক দিতে। তাঁর পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব নয় কিছু খাদ্য ও পানীয় না পেলে। রীতিমতো তিরিক্ষি মেজাজে বর উত্তর দেন সেকথা শুনে, ” হবে না ওসব। হয় ছবি তোলো। নয়তো খালি হাতে ফিরে যাও।” এরপর মেজাজ হারান ওই ফটোগ্রাফার স্বাভাবিক ভাবেই । এরপর বরের চোখের সামনে সব ছবি ডিলিট করে দেন একদিকে গরম, অন্যদিকে খিদেয় কাতর যুবক । তাঁর সটান জবাব, ”সেই সময় আর মায়া ছিল না ২৫০ ডলারের। তার চেয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা জলই পছন্দের ছিল।”
নবদম্পতি আপাতত হানিমুনে। বিয়ের ছবি দেখার আবদার বন্ধুবান্ধব, পড়শিরা করতে থাকায় আপাতত অফলাইন হয়ে রয়েছেন দু’জন। আর ফটোগ্রাফার তাঁর কুকুরের ছবি তোলায় মন দিয়েছেন। বরাবরই তাঁর বেশি পছন্দের প্রিয় সারমেয়র ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করাই।