শুধু স্বাদেই নয় বহু গুনেও সমৃদ্ধ ভারতীয় মশলা। শুধু যে রান্নার স্বাদের জন্যই আমরা মশলা ব্যবহার করি তোমনটাই কিন্তু নয়। রান্নার পাশাপাশি নানা ভারতীয় মশলার বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয় মশলা সমৃদ্ধ নানান আয়ুর্বেদিক গুণে। এর মধ্যে অনেকেই জিরের উপকারী গুণ সম্পর্কে জানেন না। ওজন কমাতে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন জিরে-জল।
কিভাবে বানাবেন জিরের জল?
এক চা চামচ জিরে এক বড়ো গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। পরদিন সকালে জলটা জিরা ছেঁকে খেয়ে ফেলুন। এতে লেবুর রস দিয়েও খেতে পারেন।
কী কী গুণ সমৃদ্ধ জিরে?
জিরের মধ্যে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে, যা হজমের পক্ষে ভীষণ কার্যকরী। জিরা পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। তার কার্যকর ভূমিকা আছে। তা শরীর থেকে বাড়তি টক্সিন বের করে দেয় এবং বাড়ায় বিপাক ক্রিয়ার হার। যাদের শরীরে প্রদাহ হয় তারা শরীর ইনফ্লামাশন কম করতে জিরের জল পান করতে পারেন। বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়লে ওজন দ্রুত কমে। তাই নিয়ন্ত্রিত খাওয়া দাওয়ার পাশাপশি ব্যায়াম এবং খালি পেটে জিরে জল খেলে আপনার ওজন কমার হার দ্রুত গতি পাবে, তাই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই!
ওজন কমিয়ে ফেলার কিছু উপকার আছে। প্রথম ছিপছিপে, টানটান চেহারায় যে কোনও ধরনের সাজগোজ বা পোশাকে আপনাকে দেখতে ভালো লাগে। দ্বিতীয় হচ্ছে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, ইত্যাদি নানা শারীরিক সমস্যার মতো নানা অসুখ-বিসুখও নিয়ন্ত্রণে আসতে আরম্ভ করে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জিরের জল খেলে শরীরের উপকারী আর হজম সহায়ক এনাজাইমের উৎপাদন বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরাও শরীর থেকে বার হয়ে যায়। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জিরায় উপস্থিত আছে আরো নানা ঔষধি আর উপকারী উপাদান যা জিরার জল খেলে শরীরে ঢুকে পর ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। ফলে নানাবিধ শ্বাস প্রশ্বাস সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।