Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

বিয়ের পণ হিসাবে আজব দাবী করে বসলেন বর! শুনে চক্ষু চড়কগাছ পাত্রীর বাড়ির লোকের!

বিয়ের পন নিয়ে পাত্রপক্ষের হাজার দাবী দাওয়া মিটাতে আজও নাজেহাল হয় এই দেশের মানুষজন। সেখানে এই বিয়ের পণ সামগ্রী হয়ত শুধু গোটা গ্রামের কাছে নয় সারা দেশের কাছেই যেন একটা অন্যরকম উদাহরণ হয়ে থাকল। কিছুদিন আগে পাত্রী রশ্মিরেখার সঙ্গে বিয়ে হয় সরোজ নামক এক স্কুল শিক্ষকের। ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার স্কুল শিক্ষক সরোজ কান্ত বিশ্বল। শিক্ষক শুধু নামেই শিক্ষক নয় সে সমাজের একজন কারিগর। পণপ্রথা সমাজের ব্যাধি। শিক্ষকমশাই ঘোরতর বিরোধী পণ দেওয়া নেওয়ার। কিন্তু পণ না দিয়ে বিয়ে দিতে কিছুতেই সম্মত নয় মেয়ের বাড়ির লোকজনও। সমাজের বাকি ঘটনা দেখে তাদের ধারণা, যদি মেয়ের বিয়ে দিতে তারা পণ না দেন শেষ পর্যন্ত হয়ত এই নিয়ে মেয়েকে শ্বশুড়বাড়িতে কথা শুনতে হবে। কিছু তো একটা উপায় বের করতে হবে। তাই ভাবী শ্বশুড়ের পীড়াপীড়িতে শেষ পর্যন্ত পণ নিতে রাজি হন সরোজ নামক ওই স্কুল শিক্ষক। কিন্তু নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে তারপরেই তিনি পণ নিতে রাজি হন। আর সেই পণ সামগ্রী কি হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাত্রেরই হবে।

পাত্র সরোজ খোলাখুলি জানিয়ে দেন পণ যদি দিতেই হয়, তাহলে ১০০১টি চারা গাছ যেন তাকে দেন তার ভাবী শ্বশুড়বাড়ি। ছোটোবেলা থেকেই গাছপালার প্রতি আকর্ষণ সরোজের। প্রকৃতির বুকে ঘুড়ে বেড়ানো তাঁর নেশা। শেষ পর্যন্ত ভাবী স্কুল শিক্ষক জামাইয়ের পণ গ্রহণের এমন উপায় শুনে রীতিমতো অবাক সবাই! বিশেষত, মেয়ের বাড়ির লোক তো ভাবি জামাতার এমন আব্দার শুনে রীতিমত হতচকিত । তবে সমাজ গড়ার কারিগর স্কুল শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সকলেই। তার এমন মানসিকতার কথা গ্রামেও মুখে মুখে ফিরছে। যেখানে পণ প্রথার বলি হওয়ার ঘটনায় আকছার সামনে উঠে আসে সেই সমাজে এই ধরনের অন্য রকম মানসিকতা সত্যিই আশা জাগায়।

আর যাকে ঘিরে এত চর্চা সেই সরোজ জানান, “বরাবরই আমি পণপ্রথার ভীষণভাবে বিরোধী। তাই পণের মেয়ের পরিবারের থেকে চেয়ে নেই ফলের গাছের ১০০১টি চারা।”

কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের এক বিয়েতে সব আগত আমন্ত্রিতদের থেকে উপহার হিসাবে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই চেয়েছিলেন এক দম্পতি। সেইসব বই দিয়ে পয়সার অভাবে পড়াশুনা করতে পারছেন না এমন ছাত্রদের জন্য একটা পাঠাগার তৈরির পরিকল্পনা করেন তারা। একটু অন্যরকম এই ধরনের বিয়ে গোটা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয় রইল বলে মনে করছেন নিমন্ত্রিতরা।

Related posts

চীন অধিকৃত তিব্বতের প্রতি পরিবারের এক সদস্যকে যোগ দিতেই হবে সেনাবাহিনীতে! ফতোয়া জারি চীনের

News Desk

XE ভেরিয়েন্টের খোঁজ মিললেও এখনও স্বস্তিদায়ক দেশের করোনা গ্রাফ! শুরু হলো প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ

News Desk

দিল্লিতে বাড়লো লকডাউনের সময় সীমা, বন্ধ থাকবে মেট্রোও

News Desk