জ্যোতিষশাস্ত্রনুযায়ী একটি সপ্তাহের প্রতিটি দিন কিছুনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার থাকে। বৃহস্পতিবার এর নাম গুরুগ্রহ বৃহস্পতি এর নাম থেকে নেওয়া হয়েছে। নারায়ণ এবং ভগবান বৃহস্পতির জন্য বৃহস্পতিবারের দিনটি উত্সর্গীকৃত বলে বিবেচিত হয়। যারা সাফল্য পাচ্ছেন না কঠোর পরিশ্রম করেও বা পরিবারে শান্তি নেই যাঁদের, বা যদি দেরী হচ্ছে তাদের বিবাহ, তবে এই নিয়মগুলি বৃহস্পতিবার পালন করলে, সহজেই এই ধরণের সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারেন। তবে লক্ষীদেবী যে খুবই চঞ্চলা তা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেননা। বেশিদিন একজায়গায় তিনি কিন্তু স্থায়ী থাকেন না। প্রায় সকলেই মা লক্ষীদেবীকে সারাজীবনের জন্যই ঘরে স্থায়ী রাখতে চান। বৃহস্পতিবার হলো মা লক্ষীকে সন্তুষ্ট রাখার উপযুক্ত দিন। জ্যোতিরবিদ রা নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন এই গুরুবারটিকে সঠিক ভাবে পালন করার জন্য যাতে মা লক্ষীকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। সেই পরামর্শ গুলো জেনে নিন কি কি…
সন্ধ্যেবেলায় ঘরে প্রতি বৃহস্পতিবার এবং ধূপ ধুনো দেখিয়ে বাড়ির আশে-পাশে, প্রদীপ জ্বেলে লক্ষ্মীর ঘট স্থাপন করে, দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। পাঁচালি পড়বেন পুজো শেষে। এতে সংসারে দেবীর কৃপা দৃষ্টি বজায় থাকবে কেটে যাবে আর্থিক সমস্যাও।
বৃহস্পতিবার বাড়িতে কলাগাছের অংশ রাখতে পারেন গৃহস্থে শান্তি বজায় রাখতে। এছাড়াও হলুদ ছড়িয়ে রাখতে পারেন বাড়ির দরজার সামনে। বলা হয় বহু অশুভ জিনিস এতে কেটে যায়। জ্যোতিষ মতে হলুদ ছড়িয়ে রাখলে দরজার বাইরে ও ভিতরের দিকে দুটি দিকেই তা সুপ্রভাব দিতে থাকে। যদি কোনও পরীক্ষার্থী থাকেন বাড়িতে, বা কেউ শুভ কাজে বৃহস্পতিবার বের হন তাহলে যেন তিনি বের হন দরজায় হলুদ লাগানোর পরই, তা দেখে নিতে হবে।
কোনও বিষ্ণু মন্দিরে যান প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে। দেড় কিলো ছোলার ডাল ও সামান্য একটু কেশর দান করুন সেখানে। এরপর বিষ্ণুর সহস্রনাম জপ করুন মূর্তির সামনে বসে। ঠাকুরকে এই ডাল আর কেশর নিবেদন করার পর দান করে দিন কোনও দরিদ্রকে। বৃহস্পতিবার এর পাশাপাশি ছোলার ডাল, গুড় ও হলুদ একসঙ্গে মেখে গোরুকে খাওয়ালেও শুভ ফল লাভ করবেন। জীবনে আর্থিক সংকট কেটে যাবে ও উন্নতি করবেন এর ফলে।
শুধুমাত্র পুজোর দিনে নয়, যদি দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকা হয় প্রতিদিনই তবে ভাল। বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার প্রতিদিন না পারলে এবং মা লক্ষ্মীর পুজোর তিথি থাকলে তো অবশ্যই।