মানুষের শারীরিক সৌন্দর্য থাকাটা একপ্রকার প্রয়োজনীয় কিন্তু উচ্চতাটাও সাথে জরুরি। সঠিক উচ্চতা না থাকলে যতই শারীরিক সৌন্দর্য থাকুক না কেন সেটা ঠিক বেমানান লাগবে। উচ্চতা এমন এক জিনিস, যার জন্য মায়েরা সন্তানদের ছোট থেকেই বিভিন্ন শাক সব্জি খেতে জোর করেন সাথে বিভিন্ন কসরতো করতে থাকেন। এমনও মনে করা হয় বিভিন্ন হেলথ ড্রিংক খেলে আর খেলাধুলার সাথে থাকলে সন্তানদের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আদতে এসব একদম সত্যি নয় বরং মিথ্যে। কোনও মানুষের উচ্চতা কত হবে তা নির্ভর করে তার পরিবারের উপর। যে পরিবারের সদস্যদের উচ্চতা বেশি হয় সেই পরিবারের মানুষদের উচ্চতা বেশি হয়।
আবার বাচ্চার উচ্চতা কম হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় যেই পরিবারের বেশিরভাগ মানুষদের উচ্চতা তুলনামূলক কম হয় সেক্ষেত্রে। জেনেটিক্স ব্যাপার এটি পুরোপুরি । আমরা আজ এই সূত্রে ভারতের কুলকার্নি পরিবারের কথা বলব। মুম্বাইয়ের পুনেতে এই পরিবার বসবাস করে। উচ্চতা ছয় ফুট, এই পরিবারের সব থেকে ছোটো সদস্যের। সাত ফুটের বেশি কুলকার্নি পরিবারের প্রধান এর উচ্চতা এবং 6 ফুট 2.6 ইঞ্চি তার স্ত্রী এর উচ্চতা।
উচ্চতার সর্বমোট যোগফল ২৬ ফুট শারদ কুলকার্নি, তাঁর স্ত্রী সানজোট এবং তাদের কন্যা মৃগা এবং সানিয়ার । একটি নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা তুলে ধরে এ পরিবারটির সংবাদ উঠে এসেছে বিভিন্ন ভারতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমে বিশ্বের দীর্ঘতম পরিবার হিসাবে।
কুলকার্নি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতা যথাক্রমে ৭ ফুট ১.৫ ইঞ্চি এবং ৬ ফুট ২.৬ ইঞ্চি যারা ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ দম্পতির মুকুট বিজয়ী। বিবাহ বন্ধনে ১৯৮৯ সালে আবদ্ধ হওয়ার পরে তারা এ স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন ভারতের লিমকা বুক অফ রেকর্ডস হতে। তাদের ২২ বছর বয়সী বড় মেয়ে মৃগার উচ্চতা ৬.ফুট ১ ইঞ্চি এবং ১৬ বছরের ছোট মেয়ে সানিয়ার উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি।
তাদের সাইজের জামা কাপড় ও জুতো ভারতীয় মার্কেটে পাওয়া যায় না তাদের উচ্চতা ও দেহাকৃতির কারণে। তাই তাদের জামা-কাপড় অর্ডার করে আনতে হয় ইউরোপীয় দেশ থেকে। এছাড়াও বাড়ির দরজা ও জানালা গুলি ছয় ফুটের বেশি তাদের যা সাধারণ দরজা-জানলার থেকে অনেক বেশি উচ্চতার। এমন উচ্চতার দরজা ও জানালা তৈরি করা হয়েছে তাদের সুবিধার জন্যই।