এ বার প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকেই পেয়ে যেতে পারেন গৃহ ঋণ। সহজে সাধ্যের মধ্যে গৃহ ঋণ পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে ‘সকলের জন্য গৃহ’ (Housing for All by 2022) নামে একটি লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশন’-এর (ইপিএফও) প্রায় ৫ কোটি সদস্য এই সুবিধার আওতায় আসতে চলেছেন।
‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশন’-এর কোনও সদস্য অন্তত ৫ বছর ধরে টাকা জমানোর পরেই প্রভিডেন্ড ফান্ড থেকে সহজে সাধ্যের মধ্যে গৃহ ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই গৃহ ঋণ কোনও ইপিএফও সদস্য তাঁর চাকুরি জীবনে একবারই মাত্র নেওয়ার সুযোগ পাবেন। কোনও ইপিএফও সদস্য তাঁর বেতনের সর্বোচ্চ ৩৬ গুণ অর্থ গৃহ ঋণ বাবদ পেতে পারেন।
‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশন’-এর যে সকল সদস্যের আয় কম, সরকার তাঁদের সস্তার আবাসন প্রকল্পে ভর্তুকি দেওয়ারও কথাও ভাবছে। জানা গিয়েছে, আয়ের ভিত্তিতেই এই গৃহ ঋণের সুবিধা পাবেন ইপিএফও সদস্যরা। ইপিএফ থেকে নেওয়া ঋণ মাসিক কিস্তিতেই পরিশোধ করা যাবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা টাকা তুলে গৃহ প্রকল্পের আংশিক টাকা যাতে মেটানো যায়, সে ব্যাপারে তত্পর হয়েছে শ্রমমন্ত্রক৷ বর্তমান নিয়মে, অন্তত পাঁচ বছর ধরে টাকা জমানোর পরে ইপিএফওর সদস্যরা বাড়ি কেনার জন্য টাকা তুলতে পারেন৷ তা ছাড়া, ইপিএফও-র সদস্যদের মধ্যে যাঁদের আয় কম, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে, সস্তার আবাস প্রকল্পে সরকার ভর্তুকিও দিতে চায়৷ আবাসন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইপিএফও সদস্যদের তিনটি পৃথক ভাগ থাকছে, কম আয়, মধ্য আয় ও উচ্চ আয়৷ সদস্যের আয়ের ভিত্তিতেই আবাসন ও উত্সাহ দেওয়া হবে৷ প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে নেওয়া ঋণ ইএমআই প্রক্রিয়ায় পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা৷ এই প্রকল্পে সদস্যদের কম হারের সুদে ঋণ দিতে, নিজেদের তহবিল কাজে লাগিয়ে সংস্থার মধ্যেই একটি সংস্থা তৈরি করতে পারে ইপিএফও৷
জানা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি আমানত জমা পড়ছে ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড’-এ। বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লক্ষ কোটি টাকার আমানত রয়েছে ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড’-এ। এই তহবিল থেকেই সাধ্যের মধ্যে গৃহ ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।