একেই বলে লেজে গোবরে হওয়া। কনের আত্মীয়দের মাধ্যমে ঘটকের দ্বারা ঠিক হয়েছিল বিয়ে। নির্ধারিত দিনে তৈরী হয়ে বিয়ে করতে পাত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে বরযাত্রী সমেত রওনা দিল বর। কিন্তু নির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলছে না কনে বাড়ীর কোনো চিন্হই। কনেবাড়ির ঠিকানা খুঁজে খুঁজে নাজেহাল বরযাত্রীরা অবশেষে ঠান্ডার রাতে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। তাঁদের অভিযোগ, কনের আত্মীয়রা যে মেয়ে বাড়ির যে ঠিকানা দিয়েছিল তার আদৌ কোনো অস্তিত্বই নেই। মেয়েটার অস্তিত্বও আদৌ আছে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। উত্তর প্রদেশের মাউ এলাকার ঘটনা।
বেশ কয়েকদিন আগের এই ঘটনা। শীতের রাতে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনের সাথে বর বেশে শোভাযাত্রা করে আজমগড় থেকে উত্তরপ্রদেশের মাউ এসেছিলেন হবু বর। তারপর গোটা শহর ধরে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী খুঁজলেন কনের বাড়িও। কিন্তু কোথায় কী! কেউ দিতেই পারলেন না এমন কোনও ঠিকানার খোঁজ। শেষমেষ রাগে, ক্লান্তিতে আবারও আজমগড় ফিরে যান তাঁরা। রাতের অন্ধকারে কোথায় যে বিয়ের পাত্রী আর বিয়ে বাড়ির আয়োজন লুকিয়ে পড়ল কে জানে!
পাত্রের বাড়ি আজমগড়ের কোতয়ালি এলাকার কাঁসিরাম কলোনিতে। যে ঘটক মহিলা ওই ছেলেটির জন্য এই বিয়ের সম্বন্ধ এনেছিলেন তাঁর উপর রাগারাগি করেন বরযাত্রীর। তাকে উল্টো পাল্টা বলা তো হয়ই। এমনকি পুরো একটা দিন তাকে আটকেও রাখেন। এতেও কোনো সুরাহা হয়নি। অভিযোগ যায় থানাতেও। কিন্তু মুশকিল হল, বর বা তাঁর পরিবারের কেউই বিয়ের আগে বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়ে একবারও কনের বাড়ি যাননি। পুরোটাই ঠিক হয়েছিল ঘটক আর কনের আত্মীয় মারফৎ। অথচ তথাকথিত কনে বিয়ের কিছু কেনাকাটার আর আয়োজনের জন্য পাত্রের বাড়ির কাছ থেকে কুড়িহাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
অবশ্য পাত্রের বিয়ের ভাগ্য বিশেষ প্রসন্ন নয়। ৪ বছর আগে এই ছেলেরই বিয়ে হয়েছিল বিহারের সমস্তিপুরে। বিয়ের কয়েক মাস সংসার করার পর সেই যে বৌ বাপের বাড়ি যায়, আর ফিরে আসেনি। এতদিন অতিবাহিত হওয়ায় সেই পাত্রের বাড়ির লোক তাঁর আবার বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ে দেখতে শুরু করেন। বিয়ে ঠিক করার পর ফের এই কাণ্ড!