বাড়ির অন্দরের চেহারাই বদলে দেয় কাঠের আসবাব। ঘরে আনে আভিজাত্যের ছোঁয়া। তাই কম-বেশি সবারই কাঠের আসবাবের প্রতিই ঝোঁক থাকে ঘর সাজাতে । কিন্তু ঘুণপোকা অনেকের সাধের আসবাবের দফারফা করে দেয় । এক বিশেষ ধরনের কাঠপোকা ডিম পাড়ে কাঠের গায়ে সেখান থেকেই। কাঠ ভিতরে ভিতরে খেতে থাকে। তাতেই নষ্ট হয়ে যায়।
১) কেনার আগে ভালো করে দেখে ফার্নিচার কিনুন। বাজারে কাঠ পাওয়া যায় ভিন্ন ধরণের।ঘুণপোকা এর মধ্যে কিছু কাঠে বাসা বাধে। আবার ঘুণপোকা ধরে না কিছু কাঠে । ভালো মানের কাঠের ফার্নিচার কিনুন দামে একটু বেশি হলেও। আসবাব কেনার আগে ভাল করে জেনে নিন, কোন কাঠে ঘুণ ধরে না। তেমন কাঠের আসবাব কিনুন।
২) ঘুণ ধরার আশঙ্কা ভেজা কাঠে বাড়ে। তাই কাঠ ভেজা বা কাঁচা কি না ভাল করে পরীক্ষা করে আসবাব কিনুন। পুরনো কোনও ফার্নিচার বাড়িতে ভিজে গেলে, তা ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। একটু খামখেয়ালিতে পুরো ফার্নিচারটি নষ্ট হতে পারে।
৩) বার্নিশের প্রলেপ কিংবা রং দিন কাঠের ফার্নিচারের উপর। এটি ফার্নিচারকে রক্ষা করবে পোকার হাত থেকে। বছরে একবার বার্নিশের প্রলেপ দিয়ে নিন পুরোনো ফার্নিচারগুলো । বহুদিন ভালো থাকবে।
৪) এর পরেও ঘুণ ধরতে পারে আসবাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হতে পারে রাসায়নিক। বাজারে কিছু রাসায়নিক পাওয়া যায় বোরন পাউডারের মতো। সেগুলি এনে স্প্রে এই মতো করে উক্তস্থানে দিতে পারেন।
৫) ঘুণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেলে পেশাদার কাউকে দিয়ে আসবাবের সেই অংশ কেটে ফেলে দিয়ে মেরামত করতে হতে পারে। তাতে বাকি অংশ বাঁচবে আসবাবের।
৬) যদি একবার পোকা কাঠের ভেতরে ঢুকে যায় সে পোকা তাড়ানো বা মেরে ফেলা খুবই কঠিন। এক ধরণের কাঠ পোকা দেখতে সাদা, আর লম্বা ১ ইঞ্চি বিশেষ করে। কাঠের ভেতরেই এই পোকাগুলো বাসা বাধে। তখন শব্দ শোনা যায় এরা যখন কাঠ কাটে। সম্ভব না এই পোকা তাড়ানো। মেরে ফেলতে হয় এদেরকে। তাই যে ছিদ্র দিয়ে পোকা ঢুকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে বিষ প্রায়োগ করতে হবে।