যেসকল ঘরোয়া উপাদান গুলি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে ত্বক চর্চার ক্ষেত্রে তার মধ্যে মুসুর ডাল হলো অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা এই সময়ে প্রোটিনের অন্যতম উৎস হিসেবে ডালকে বেছে নিতে বলছেন। যেমন প্রোটিনে ভরপুর, খেতেও কিন্তু সুস্বাদু মসুর ডাল। এগুলি ছাড়াও এর আরেকটি গুণ হলো আপনার রূপচর্চায় দারুণ উপকারী এটি। এর জুড়ি মেলা ভার ত্বকের ময়লা, বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান করতে ,শুষ্ক ত্বকের ঔষধ হিসাবে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি এজিং প্রপার্টিস মুসুরির ডালের মধ্যে থাকে। সাথে এতে প্রোটিন থাকে। এর মধ্যে নানান গুণাবলী ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে।পাশাপাশি মুসুরির ডাল ভীষণ কার্যকরী সান ট্যান দূর করতেও। তবে দেরি কিসের? সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে মুসুরির ডালের ফেসপ্যাক বানিয়ে আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহারের মাধ্যমে নিম্নোক্ত ফেসপ্যাক গুলি পেয়ে যাবেন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক।
১) আপনি তিন টেবিলচামচে মুসুর ডাল বাটা, তিন টেবিল চামচ টক দই আর একই পরিমাণ বেসন একসঙ্গে বেশ করে মিশিয়ে নিন, এই মিশ্রণে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিয়ে আবার ফেটিয়ে নিতে হবে। অপেক্ষা করুন এবার মুখে লাগিয়ে যতক্ষণ না শুকোয়। তারপর ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দূর হবে ত্বকের কালচেভাব।
২) মুসুরির ডালের ব্যবহার- 1 চা চামচ মুসুরির ডাল বাটার মধ্যে সমপরিমাণ আলমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন এবং গোলাপজল মিশিয়ে 10 মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন সেনসিটিভ ত্বকের জন্য।
৩) মুসুরির ডালের ব্যবহার- 1 টেবিল-চামচ মুসুরির ডাল বাটার মধ্যে অ্যাড করুন 2 টেবিল চামচ দুধ এবং এক চিমটি হলুদ এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে স্ক্রাব করে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। এটি ফেসওয়াশ এর মত কাজ করবে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে। যদি আপনি নরমাল স্কিনের অধিকারী হন সেক্ষেত্রে অ্যাড করতে পারেন দু’ফোঁটা নারকেল তেল।
৪) খানিকটা অ্যালোভেরা জেল মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন, আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে মুখের দাগ ফিকে হয়ে আসবে নিয়মিত করলে।