৩৩ বছরের ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছিলেন নোকিয়ার ৩৩১০ মডেলের ফোনটি। আস্ত মোবাইল গিলে খেয়ে ফেলা ওই যুবকের কী দশা হল, তা নিশ্চয়ই এবার জানতে ইচ্ছা করছে। চলুন তবে গোটা ঘটনা খোলসা করা যাক।
সেপ্টেম্বরের একেবারে শুরুতে কসোভোর প্রিস্টিনা শহরের বাসিন্দা এক যুবক হাসপাতালে ভরতি হন। তাঁর সমস্যা একটাই অত্যধিক পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেটে অস্বস্তি নিয়ে ওই ব্যক্তি নিজেই এসেছিলেন হাসপাতালে।
কী ভাবে তাঁর পেটের মধ্যে ফোন গেল, তা স্পষ্ট করে বলেননি। চিকিৎসকদের সমস্যা জানান তিনি। কী কারণে যন্ত্রণা হচ্ছে তা খুঁজে বের করার পন্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো। সেই মতো ওই যুবকের এক্স রে, এন্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
পরীক্ষা করানো হয়। আর তাতেই সামনে এল আসল ঘটনা।পরীক্ষায় স্পষ্ট বেশ আয়তনে বড় কোনও সামগ্রী গিলে ফেলেছে সে। চিকিৎসকরা স্ক্যান করে দেখেন, পেটের মধ্যে তিন ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে সেই ফোন। কিন্তু ফোন তো আর হজম হওয়া সম্ভব নয়। আর সে কারণে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে।
তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার না করলে ওই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়ে দেন চিকিৎসক। সেই অনুযায়ী তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় মোবাইলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই অস্ত্রোপচারের সময় লেগেছে দু’ঘণ্টা। আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকের মতে, সামান্য সময় নষ্ট হলে ওই যুবকের মৃত্যু হতে পারত। অস্ত্রোপচারের পরেই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন চিকিৎসক।
পোস্ট করা হয় এক্স-রে প্লেটের ছবিও। তাতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, পেটের মধ্যে রয়েছে ফোনটি। যদিও চিকিৎসক জানিয়েছেন, পেটে গিয়ে ফোনটি তিন ভাগে ভেঙে যায়। এর একটি অংশ ছিল ব্যাটারি, যেটি নিয়েই ছিল সবচেয়ে চিন্তা। মোবাইলের ব্যাটারি বিস্ফোরণের ফলেও প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। যদিও এই ঘটনা নতুন নয়।
২০১৪ সাল থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, অনেকেই এ ভাবে ফোন গিলে ফেলেছেন। অস্ত্রোপচারের সাহায্যেই তাঁদের কারোর প্রাণ বাঁচাতে সমর্থ হন চিকিৎসকরা। কেউ বা মারা গিয়েছেন।