আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করে নিলেও তালিবানের (Taliban) গলার কাঁটা হয়ে ছিল পঞ্জশির। পাহারঘেরা প্রদেশটি বশ্যতা স্বীকার করেনি তাদের কাছে। অবশেষে শুক্রবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তালিবানের সূত্র বলেছে, ”সর্বশক্তিমান আল্লার দয়ায় আমরা সারা আফগানিস্তান দখল করতে সমর্থ হয়েছি। সমস্যা সৃষ্টিকারীদের পরাজয় হয়েছে। পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে।”
শুক্রবার রাতের ঘোষণার পরই কাবুলের (Kabul) রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে তালিবান যোদ্ধারা। এলোপাথারি শূন্যে গুলি চালাতে থাকে তারা। জেহাদিরা জয়োল্লাসে শূন্যে গুলি চালাতে থাকায় সেই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ১৭ জন সাধারণ আফগান নাগরিকের।
আহত ৪১ জন। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শিউরে উঠেছে বিশ্ব। হর্ষোল্লাস প্রকাশে আকাশের দিকে গুলি চালানো তালিবানের পুরনো অভ্যাস। আর সেটা করতে গিয়েই প্রাণ হারাল বহু নিরীহ আফগান। এদিন কাবুলের এক এমার্জেন্সি হাসপাতাল জানিয়েছে, ওই ঘটনায় অন্তত সতেরো জনের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত একচল্লিশ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শূন্যে গুলিছোঁড়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি।
যদিও পঞ্জশিরের তালিবান বিরোধী নেতা আহমেদ মাসুদ বলেছেন, ”পঞ্জশির দখল নিয়ে পাকিস্তানের(Pakistan) মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। যা পুরোপুরি মিথ্যে। পঞ্জশিরে যেদিন ওরা জিতে যাবে সেটা হবে পঞ্জশিরে আমার শেষ দিন। ইনশাল্লা।” রয়টার্সের কাছে এই দাবি করেছেন মাসুদ। আমরুল্লাহ সালেহ পাল্টা দাবি করেন, প্রচণ্ড লড়াই চলছে তবে এখনও পর্যন্ত তালিবানরা পঞ্জশিরে থাবা বসাতে পারেনি। তারা জানিয়েছে তালিবানদের বিরুদ্ধে এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় যোদ্ধারা।