সবথেকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ১৮০ বছরের ইতিহাসে ধেয়ে আসছে। নদীর জল উলটো দিকে বইছে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন দৃশ্যই ধরা পড়েছে মিসিসিপি নদীতে হারিকেন ইদার প্রভাবে। ইদা রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই ক্য়াটেগরি-৪ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। নদীর জল ঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ থেকেই উত্তরে বয়ে যাচ্ছে, নদীর জল উত্তর থেকে দক্ষিণে বইলেও।
মাঝেমাঝেই মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি সহ্য করতে হয় আমেরিকার নিউ অরলিয়েন্সকে হারিকেন ঝড়ের প্রকোপে। ১৬ বছর আগে হারিকেন ক্যাটরিনা আছড়ে পড়েছিল। সেবারও গোটা শহর মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল, অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ফের একবার ঘূর্ণিঝড় ইদার দেখা পাওয়া গেল।
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইদা কতটা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। কোথাও নদীর উল্টো গতিপথ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে, কোথাও আবার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে আস্ত বাড়ি হাওয়ায় উপড়ে যাওয়ার।
জানা গিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ কিমি বেগে হাওয়া বইছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। গ্রান্ড আইলের লুইসিয়ানা অঞ্চলে বিধ্বংসী ঝড় উঠেছে। ঘূর্ণাবত থেকেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া ইদা মিসিসিপি ও টেনেসিতে আছড়ে পড়তে পারে সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যেই। মার্কিন আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইদা বর্তমানে পোর্ট ফোরকনের উপকূল পার করেছে । ৩ লক্ষ ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি ও অফিসে ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতিরও।
আবহাওয়াবিদদের মতে এত মারাত্মক কোন ঝড় দেখতে হয়নি আমেরিকাকে ১৮৫০ সালের পর। তারা যার জেরে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে হারিকেন ইদা। বিশেষত এর গতি সোমবার থেকে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি একটি ক্যাটাগরি-২ হারিকেন, যার গতিবেগ হতে পারে ১০০ মাইল বা ১৬০ কিলোমিটার ঘণ্টায়।